চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রয়াণে চ্যানেল আই ভবনে শোক বই

প্রয়াত সংগীত স্রষ্টার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আই ভবনে

রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। 

তার মৃত্যুতে শুধু সংগীত জগতই নয়, পুরো সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া। গুণী এই মানুষটির স্মরণে চ্যানেল আইতে রাখা হয়েছে শোক বই।

চ্যানেল আই পরিবারের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিলো কিংবদন্তী এই গীতিকারের। সংগীত ও সিনেমার এই গুণীজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই চ্যানেল আই কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বিশালাকার ছবিসহ তার নামে একটি শোক বই।

যে বইতে ইতোমধ্যে এই গুণী মানুষের স্মরণে নিজের অনুভূতির কথা লিখে প্রকাশ করছেন প্রবীণ ও নবীন শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সহ শোবিজ অঙ্গনের মানুষ।

অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি, তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানেই হবে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ খ্যাত গানের এই স্রষ্টার প্রথম নামাজে জানাজা। এরপর নিয়ে আসা হবে চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। তৃতীয়বারের মতো সেখানে জানাজা সম্পন্ন করে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বিশ হাজারেরও বেশি গানের গীতিকার তিনি। যার অসংখ্য গান মানুষের মুখেমুখে। তারমধ্যে অন্যতম জয় বাংলা বাংলার জয়, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হলো’র মতো দেশাত্মবোধক গান যেমন আছে, তেমনি সিনেমার জন্য আছে গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম -এর মতো কালোত্তীর্ণ আধুনিক গান।

বিবিসি বাংলা তৈরিকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ বার গীতিকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ২০২১ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনে।