এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
মিশরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি নিশ্চিতের আলোচনা জোরদার হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) হামাস বলেছে, আমাদের প্রতিনিধি দল সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আশাবাদী। আমরা যুদ্ধবিরতির জন্য চুক্তি করতে আগ্রহী।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায়, হামাসের প্রতিনিধি দল মিশরীয় রাজধানী কায়রোতে এসেছে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে। এই চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্ত করার বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ সাময়িকভাবে থামবে বলে আশাবাদী হামাস।
শনিবার রাতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, হামাস আলোচনার টেবিলেই চুক্তি করতে চায় যেন সবার সামনে সেই চুক্তিটি মূল্যায়ন পায়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী হবে কিনা তা নিয়ে মূল সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে হামাস আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলে তা গাজায় হামলা বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু ইসরায়েল কোনো চুক্তি বা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হচ্ছে না। আমরা আশাবাদী যদি চুক্তি হয়, সেই ক্ষেত্রে জিম্মি মুক্তিসহ প্রায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতিসহ ফিলিস্তিনি বন্দীরাও মুক্তি পাবে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল চুক্তি সম্মত হলেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে নতুন করে সামরিক স্থল অভিযান চালানো হবে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বৃহত্তম কূটনৈতিক এবং সামরিক মিত্র ইসরায়েলের রাফাহ শহরে নতুন আক্রমণের বিপক্ষে। কারণ, আনুমানিক ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ রাফাহ ভূখণ্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছে আশ্রয় নিয়েছে। এই হামলা ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বাড়াবে।