গণসংস্কৃতি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন কবি ও বিষয়ভিত্তিক ত্রৈমাসিক পত্রিকা হালখাতার সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সদস্য সচিব হয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সংগীত শিক্ষক সৈয়দ তামজিদ। কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক পদে রয়েছেন ১৮ জন, যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন ১৮ জন এবং কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন ১৭ জন।
সংগঠনটির তিনটি মূলনীতি হলো: সৃজন-মনন, প্রতিবাদ ও মুক্তি। শ্লোগান হলো, “সংস্কৃতি আনবেই মুক্তি”।
রাজনৈতিক সংগঠন গণঅধিকার পরিষদের ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনের কমিটি উপস্থাপন করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয় বরং প্রকৃত মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক রাজনীতি বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।দেশের বর্তমান অসহিষ্ণু রাজনীতি ও অসুস্থ সংস্কৃতির গঠনমূলক পরিবর্তনে গণসংস্কৃতি পরিষদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সংগঠনের আহবায়ক কবি শওকত হোসেন বলেন, গণমানুষের মানসিক বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে গণমুক্তির পথে অবদান রাখাই গণসংস্কৃতি পরিষদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, জাতি আজ বাক ও শিল্পচর্চার অধিকার হারিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত, সেখান থেকে উত্তোরণের জন্য এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে আন্দোলন শুরু করেছে, সে লড়াইকে বিশেষত সাংস্কৃতিকভাবে আরও গতি দান করতে গণসংস্কৃতি পরিষদ কাজ করে যাবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি অঙ্গনের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতির পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ, আইনজীবী অধিকার পরিষদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীবৃন্দ।