ওটিটি প্লাটফর্মের কারণে সঠিকভাবে শিল্পীদের ব্যবহার করা হয় না- মিথটা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। যার বড় প্রমাণ এফএস নাঈম, ইন্তেখাব দিনার, আবদুল্লাহ আল সেন্টু, নাসির উদ্দিনের মতো অভিনয়শিল্পীরা। বিশেষ করে ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’ ও ‘মিশন হান্টডাউন’ দিয়ে এফএস নাঈম সু-অভিনেতার প্রমাণ দিয়েছে নাঈম!
তাই নাটক কমিয়ে এই অভিনেতা এখন ঝুঁকেছেন ওটিটি প্লাটফর্মে। যা পাচ্ছেন তাই করছেন এই ফর্মুলা থেকে আরও আগে বের হয়ে এসেছেন নাঈম। চ্যানেল আই অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাঈম জানালেন, অভিনয়ের ক্ষুধা মেটে এমন সব কাজ তিনি বেছে বেছে করছেন। এর ফলে ‘কারাগার’ দিয়ে সুফল পেয়েছেন।
এফএস নাঈম বলেন, আগে ভিন্ন কাজের জন্য আত্মচিৎকার করতাম, ভিন্নতা থাকলেও কিছুটা একটাইপের হতো। এখন সত্যি ভিন্ন কাজ করা যাচ্ছে। এ কারণে খুব ভেবেচিন্তে কাজ করছি। দৃঢ়ভাবে এতটুকু বলতে পারি, এখন থেকে যে কাজটি করবো সেটি এক্সক্লুসিভ কাজ হবে। নইলে করছি না।
এক্সক্লুসিভ কাজ পাননি বলে আসন্ন ঈদে নাঈমের কোনো নাটকও আসছে না। তার মানে নাটক একেবারে ছেড়ে দিলেন? উত্তরে নাঈম বললেন, যে কোনো মানুষের ডেজিগনেশন (পদবী) গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি আর্টিস্ট হিসেবে বলি দশ জায়গায় কাজ করি সেটা কোনো ডেজিগনেশন হতে পারে না। যখন যেখানে কাজ করা উচিত সেটা ঠিকঠাকভাবে করা উচিত। নাটকে এখন অনেকেই ভালো কাজের চেষ্টা করছেন। তাদের অ্যাপ্রিসিয়েশন জানাই।
আগামীতে অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে ‘জ্বলে জ্বলে তারা’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পাবে নাঈমের। সৈয়দ শাওকীর পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরিজে কাজ শেষ করেছেন তিনি। এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন জানিয়ে নাঈম বলেন, কতটুকু কী করেছি সেটা দর্শক বলবে। আমি শুধু বলতে চাই, চেষ্টার কমতি রাখিনি।
২০২২ সালের দুই সিজনে সৈয়দ শাওকী পরিচালিত ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন নাঈম। বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ ও প্রবাসী বাঙালি দর্শকদের কাছে নজর কাড়তে সক্ষম হন উল্লেখ করে নাঈম বলেন, কারাগার আমাকে গ্লোবাল অডিয়ান্সের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া ওটিটি প্লাটফর্মের কাজ কেমন হওয়া উচিত সেটা আমাকে ‘কারাগার’ বুঝিয়ে দিয়েছে।
নাঈম বললেন এভাবে, “কারাগার এর আগে থেকে এক্সক্লুসিভ কাজ চাচ্ছিলাম। কারণ সময়টা এখন অনেকবেশি অ্যাভেইলেবল। না চাইলেও যে কোনো সময় সেলফি তুলতে হয়। আগে পাবলিক ফিগারদের মানুষদের থেকে আড়াল থাকার সুযোগ থাকলেও এখন নেই। বেশি অ্যাভেইলেবল হওয়ার কারণে অনেক বড় আর্টিস্ট দর্শক হারাচ্ছে। দর্শকরা তাকে এতো অ্যাভেইলেবল হিসেবে পাচ্ছে যে দর্শকরাই বলছেন, অনেকে দেখে ফেলেছি, আর না দেখি!”
এ কারণে নাঈম নিজেও বিরতি নিয়েছিলেন। পরে ‘কারাগার’ ওয়েব দিয়ে কামব্যাক করেন। নাঈম বলেন, শাওকী ও ফিল্ম সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করলে তারা আমাকে বোঝালো কোনটা এক্সক্লুসিভ আর কোনটা অ্যাভেইলেবল। তখন থেকে আমি বুঝেছি এক্সক্লুসিভ করতে হলে ব্রেক নিতে হবে।