বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মোরশেদুল ইসলামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আগামী’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রটির ৪০ বছর পূর্তি শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)।
১৯৮৪ সালের এই দিনে ২৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আগামী’র প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল। বলা হয়, এই ছোট ছবির মাধ্যমেই শুরু হয় বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের!
এটি নির্মাণের পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড নানা আপত্তির কথা বলে ছবিটিকে সেন্সর ছাড়পত্র দিতে দেরি করতে থাকে। ছবিতে ব্যবহৃত ‘জয় বাংলা’, ‘পাকিস্তানি মিলিটারি’, ‘রাজাকার’ ইত্যাদি শব্দ; পাকিস্তানি সেনা কর্তৃক অত্যাচারের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ছিল সেন্সর বোর্ডের। এ নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদ হলে শেষ পর্যন্ত সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হয়। ১৬ মিলিমিটারে নির্মিত ‘আগামী’ হয়ে উঠে তরুণ নির্মাতাদের দিশা।
সেই ঘটনাবহুল সিনেমাটির চল্লিশ বছর পূর্তির দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও চলচ্চিত্রম ফিল্ম সোসাইটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে প্রীতি সম্মিলনীর। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে থাকছে সেই আয়োজন।
এতে অন্যতম অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। প্রীতি সম্মিলনী শেষে ‘আগামী’র একটি বিশেষ প্রদর্শনী রয়েছে।
দিনটিকে আরো স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মোরশেদুল ইসলামকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে একটি প্রামাণ্যচিত্র। নাম ‘অ্যান্ড দেয়ার ওয়াজ লাইট’, নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা নূরুল আলম আতিক।