লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে দু’বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী খুরশিদ আলম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন।
তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, তিন মেয়ে মেয়ে নাত-নাতনীসহ বহু আত্মীয়-স্বজন শুভানুধ্যয়ী রেখে যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আজ রবিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে অবস্থিত পৈত্রিক ভিটা মদিন উল্যা হাউজিং এ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
চৌধুরী খুরশিদ আলম এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে দু’বার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
এর আগে ১৯৭৩ সালের ২১ অক্টোবর থেকে ১৯৭৪ সালের ৫মার্চ পর্যন্ত তিনি লক্ষ্মীপুর (সরকারি) সাবেক বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৯৪০ সালে সদর উপজেলার শাকচর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন তিনি। তার পিতা ছিলেন তৎকালীন লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম মদিন উল্যা চৌধুরী প্রকাশ বটু চৌধুরী।
চৌধুরী খুরশিদ আলমের মৃত্যুতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জাতীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা মো. নোমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।