যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশকে জিএসপি সুবিধা দেয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথম দেশ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রশ্নে ডোনাল্ড লু বলেন: কিছুদিন ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে। অনেক প্রোগ্রেস হয়েছে। র্যাব নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে আমরা কথা বলব। র্যাবের অনেক ইমপ্রুভ হয়েছে।
ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার তিনি বলেন: ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি কোনো ক্লাব নয়। এখানে যুক্ত হওয়ার কিছু নেই। বরং সবাই এর অংশ।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকা সফর শুরু করেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বহুল আলোচিত ওই ডিপ্লোম্যাট শনিবার সন্ধ্যায় ভারত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছান।
ঢাকা সফরের প্রথম দিনেই অর্থাৎ শনিবার তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি মন্ত্রীর ইস্কাটনস্থ সরকারি বাসভবনে (পররাষ্ট্র ভবন) যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হওয়া ভোজ-বৈঠক করেন তারা।
জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লু’র মধ্যকার আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। কারণ বৈঠক শেষে মার্কিন প্রতিনিধিরা কোনো বাক্য বিনিময় ছাড়াই পররাষ্ট্র ভবন ত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে আজ সরকারের অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন অতিথির বৈঠকের পর উভয়ের তরফে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং হতে পারে।
অন্যদিকে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বেসরকারি খাত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও আজ তার গুলশানের বাসভবনে দেখা করেছেন। সালমান এফ রহমানের সাথে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা বৈঠকের পর গুলশানে সলিডারিটি সেন্টারে যান ডোনাল্ড লু।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তুলছে, একই সাথে যখন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সরকার, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর এই বাংলাদেশ সফরকে উভয় পক্ষই গুরুত্ব সহকারে দেখছে।