প্রথমার্ধের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশ ৪২ মিনিট পর্যন্ত জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিল। এরপরই হয়ে যায় সব এলোমেলো। বিরতির আগেই হজম করে বসে দুই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের নিয়ে ফিলিস্তিন রীতিমত ছেলেখেলায় মাতে।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে যাওয়া নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ক্যাবরেরা। লাল-সবুজের দলের এভাবে বিধ্বস্ত হতে পারে, সেটি তিনি কল্পনাই করেননি বলে জানান।
‘প্রথম ৪০ মিনিট আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচই খেলেছি। ফিলিস্তিনের মতো একটা দলের সঙ্গে যা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষটা আমরা যেভাবে করেছি, তা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। এটাই আসলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
চোখে চোখ রেখেই ম্যাচের শুরু থেকে শক্তিশালী ফিলিস্তিনের সঙ্গে টক্কর দিয়েছিল বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি আক্রমণ গড়ে গোলের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল। গোছানো ফুটবল খেলতে থাকলেও রক্ষণভাগের একের পর এক দৃষ্টিকটু ভুলে জামাল ভূঁইয়ার দল ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায়। র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গে এক পর্যায়ে তাল মেলাতে গিয়ে ছন্দপতনের ভয়টা ক্যাবরেরার মনে ছিল। তবে মাঠের ফুটবলে যা হয়েছে, সেটি ছিল তার ভাবনারও বাইরে।
‘আমরা জানতাম ম্যাচের একটা সময় এমন কিছু হতে পারে। কিন্তু সেটা যে এভাবে আমাদের ধসিয়ে দেবে, তা ভাবনার বাইরে ছিল। এরপর ম্যাচে ফেরা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শক্তিশালী একটা দলের সামনে রীতিমতো উড়ে যাই।’
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ২৬ মার্চ দুই দল ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে। খেলা শুরুর সময় বিকেল সাড়ে ৩টা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে হোম ম্যাচের দিকেই নজর রাখতে চাইছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ।
‘কোথায় ভুল হয়েছে সেটা এখন আমাদের বের করতে হবে। এটাও খুঁজে দেখতে হবে যে কেন আমরা লড়াই করতে পারলাম না। বিশেষ করে প্রথম ৪০ মিনিট এমন খেলার পর এভাবে হেরে যাওয়া কোনোভাবে মেনে যাওয়া যায় না। আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে, আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে এবং অবশ্যই আরও উন্নতি করতে হবে। আপাতত এটিই এখন আমাদের মূল কাজ।’