ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারের পরও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকার বড় রসদ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ফুটবল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচের ভেন্যু এবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা।
ইতিহাস বলছে, কিংস অ্যারেনায় চার ম্যাচ খেলা লাল-সবুজের দল একটিতেও হারেনি। তিন ড্রয়ের পাশাপাশি মালদ্বীপকে হারিয়ে বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটে হাভিয়ের ক্যাববেরার শিষ্যরা। সোমবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘরের চিরচেনা মাঠে ফিরতে পেরে আনন্দিত স্পেনিয়ার্ড এ কোচ।
কিংস অ্যারেনায় অপরাজিত থাকার ধারা বজায় রাখার আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘অ্যাওয়ে ম্যাচে দলের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের এখন সমন্বয় করে নিয়ে পরের ম্যাচে মনোযোগ দেয়া দরকার। যাতে আমরা সমর্থকদেরকে ভালো কিছু দিতে পারি। আশা করি, পয়েন্ট পেতে পারি।’
‘নিশ্চিতভাবেই আগামীকাল আমাদের জন্য বড় একটি দিন। অনেক দিন পর ঘরের মাঠে ফিরতে পেরে বেশ আনন্দিত। নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা জানি। কিংস অ্যারেনায় আবারো দারুণ পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে আমরা এখনও অপরাজিত।’
কুয়েতের মাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঁচ গোলের শোচনীয় হারের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবরেরাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, জামাল ভূঁইয়ার দল ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
‘অনেকের কাছে প্রথম লেগের ফল হতাশাজনক। কিন্তু এর মাঝেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমরা উঁচু মানের এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলেছিলাম। বাছাইয়ের এই ধাপে এসে আমরা জানতাম, এই ধাপটা পার হওয়া খুব কঠিন হবে।’
‘এটা বিপর্যয় নয়। আমরা গোল হজমের সংখ্যা বিশ্লেষণ করি না। বিশ্লেষণ করি পারফরম্যান্স, উন্নতি ও যেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেইসব বিষয়। খেলোয়াড়রাই মাঠে থাকে, তারাই পারফর্ম করে। আমি মাঠের বাইরে থাকি। প্রথম লেগের পারফরম্যান্সে ছেলেরাও হতাশ। তবে আবার বলছি, ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আমার কাছে সংখ্যার গুরুত্ব নেই, পারফরম্যান্সই আসল কথা।’
ফিলিস্তিনের শক্তিমত্তা ও সামর্থ্য সম্পর্কে ক্যাবরেরা খোলামেলাভাবেই প্রকৃত বাস্তবতা স্বীকার করেন। আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে আরও ভালো দল হয়ে ওঠার তাগিদ দেন।
‘ম্যাচের শুরুর ৪২ মিনিট আমরা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেললাম। এমন একটা দলের বিপক্ষে, যারা সবশেষ এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় খেলেছে। আসরে পরে শিরোপা জেতা কাতারকে কুপোকাতের খুব কাছাকাছি ছিল।’
‘যে বিষয়গুলো মানিয়ে নেয়ার দরকার ছিল, সেগুলো করার পর আগামীকাল কী হয় তা দেখা যাক । আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটা আমাদের জন্য আরও শেখার অভিজ্ঞতা। প্রথম লেগের পর আমাদেরকে এখন আরও ভালো দল হতে হবে।’