বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ‘আই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ অনেকটা শক্তিশালী হলেও নিজেদের মাটিতে ম্যাচটি হবে বলেই জয়ের ব্যাপারে কিছুটা আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন স্বাগতিক দলের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা।
মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খেলাটি শুরু হবে। টি স্পোর্টস খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। অনলাইনে খেলাটি টি স্পোর্টসের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২৭তম স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল জামাল ভূঁইয়ার দল। র্যাঙ্কিংয়ের ১৮৩তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল এক ফারাক থাকলেও লেবাননের সঙ্গেও ব্যবধান খুব একটা কম নয়। মধ্যপ্রাচ্যের দলটি র্যাঙ্কিংয়ের বাংলাদেশের চেয়ে ৭৯ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। তবু জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ক্যাবরেরা।
যদিও স্বাগতিক কোচের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারে রাকিব হোসেন ও সাদ উদ্দিনের উপর কার্ড জনিত নিষেধাজ্ঞা। শুরু থেকেই ক্যাবরেরার একাদশে নিয়মিত খেলে আসছেন রাকিব। তাকে কেন্দ্র করেই সাধারণত আক্রমণের কৌশল সাজিয়ে থাকেন এ স্প্যানিশ কোচ। ছন্দে ছিলেন সাদ উদ্দিনও। মালদ্বীপের বিপক্ষে গোলও করেছিলেন এই দুই ফুটবলার। তাদের না থাকাটা লেবাননের সঙ্গে ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ক্যাবরেরার বিশ্বাস, যারা দলে আছেন তারা নিজেদের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না।
এ পর্যন্ত লেবাবনের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার দুটি খেলেছে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। লেবাননে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৪-০ গোলে হেরে আসলেও ঢাকায় ফিরতি লেগে তাদের ২-০ গোলে হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। মধ্যপ্রাচ্যের ওই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছে গত জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। ওই ম্যাচে ২-০ গোলে জামালরা হেরে যায়।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক কোচ ক্যাবরেরা বলেন,‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কী ঘটেছে আপনারা জানেন। আমি ওই দিনটিকে ভুলে নতুন একটি দিনে নতুন একটি ম্যাচ খেলতে চাই। কিছুদিন আগেও আমরা লেবাননের বিপক্ষে খেলেছি। তাদের শক্তিমত্তা সর্ম্পকে আমাদের ধারণা আছে। সেটা বুঝেই আমি ম্যাচ পরিকল্পনা করেছি।’
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গ্যালারি পূর্ণ থাকে। সেটি কাল বাড়তি প্রেরণা যোগাবে উল্লেখ করে ক্যাবরেরা বলেন,‘মাঠে দর্শক থাকলে এমনিতে স্বাগতিক ফুটবলাররা উজ্জীবিত থাকে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে। আর সেই সুযোগটাই আমরা কাজে লাগাতে চাই।’