আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভয়াবহ বন্যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত ৫,৩০০ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সিএনএন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানার পরপরই লিবিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্লাবিত এলাকায় বন্যার পানি আরও বেড়ে চলেছে।
লিবিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ প্রতিনিধি দলের প্রধান তামের রমাদান বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুল জলিল বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনা সবচেয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে। সেখানে প্রায় ৬,০০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের মতে, আশেপাশের এলাকাগুলো পানিতে ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জরুরী এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার মুখপাত্র ওসামা আলি বলেছেন, দেরনার হাসপাতালগুলো আর পরিচালনাযোগ্য নয় এবং মর্গগুলো লাশে পূর্ণ। তিনি বলেন, মৃতদেহগুলো মর্গের বাইরে ফুটপাতে ফেলে রাখা হয়েছে।
দেরনায় বসবাসকারী লোকজনের স্বজনরা বলেছেন, বন্যার ভিডিও দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ফিলিস্তিনি মহিলা আয়াহ বলেছেন, বন্যার পর থেকে তিনি তার চাচাতো ভাইদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। টোব্রোকের বাসিন্দা এমাদ মিলাদ জানান, বন্যায় তার আট আত্মীয় মারা গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) বলেছে, দেশটি একটি নজিরবিহীন মানবিক সংকটের সম্মুখীন। তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা প্রদানকারী তুর্কি বিমান লিবিয়ায় পৌঁছেছে।