এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
তীব্র দাবদাহ সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের কারণে মেয়েদের ফুটবল লিগ ফ্লাডলাইটের আলোয় না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাল্টেছে সিদ্ধান্ত। ফ্লাডলাইটের আলোতেই হবে লিগের বাকি সব খেলা।
শনিবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আসরের উদ্বোধন করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি ফ্লাডলাইটের আলোয় ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা জানান।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘যখন আমি মাঠে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই বুঝেছি এই আবহাওয়ায় এখন মানুষের পক্ষে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়। তখনই সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে ফ্লাডলাইটে ম্যাচ আয়োজন করা যায়। সে বলল, বড় বাজেট লাগবে। ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি বললাম, বলো। বাজেট জোগাড় করে দিচ্ছি। খেলা রাতে হবে। খেলাও ভালো হবে।’
অথচ গতকাল বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েলেন, কমলাপুর স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল ফেডারেশনকে বহন করতে হবে। ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে ম্যাচ প্রতি বাফুফের খরচ পড়বে ১৩ হাজার টাকা। সেই টাকাই খরচের সামর্থ্য নাকি বাফুফের নেই!
৯ দলের সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে ম্যাচ মোট ৩৬টি। সূচি অনুযায়ী, ১৯ দিন হবে ম্যাচ। তার মধ্যে ১৭ দিন দুটি করে ম্যাচ রাখা হয়। প্রথমটি সকাল সাড়ে ৯টায়, দ্বিতীয়টি বিকেল পৌনে ৪টায়। দ্বিতীয় ম্যাচটি ফ্লাডলাইটে আয়োজন করলে ১৭ ম্যাচের জন্য বাফুফের খরচ হতো ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। বাফুফের পক্ষে এই অর্থ বহন করা সম্ভব নয় বলে লিগ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
একদিন পরই বাফুফে সভাপতির চাওয়ায় পাল্টে গেল সিদ্ধান্ত। সময় পরিবর্তনের ফলে দুটি করে যেসব দিন ম্যাচ মাঠে গড়াবে, তার প্রথমটি বিকেল ৫টায় ও দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে।
টাকা জোগাড়ের বিষয়ে বাফুফে সভাপতির ভাষ্য, ‘দেখা যাক। গত দশ বছরে কোনো কিছু আটকে ছিল না। মেয়েদের টিম জাপান-সৌদি আরবসহ সব জায়গায় গেছে, অনুশীলন করেছে। যেখান থেকে হোক বাজেট আমরা জোগাড় করব।’
দাবদাহের ভেতর মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের আগের সিদ্ধান্তকে সঠিক দাবি করে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘কাউকে দোষ দেয়া যায় না। এটাই স্বাভাবিক ছিল। অফিস যা করেছে, ঠিক করেছে।’