এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
মৌসুম শেষে বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়ে রেখেছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত পাল্টে চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত ন্যু ক্যাম্পে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ক্লাবের আর্থিক অবস্থা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলায় সাবেক বিশ্বকাপজয়ী বরখাস্তের ঝুঁকিতে পড়েছেন। এরমাঝে খবর, কোচ হিসেবে পেতে হ্যান্সি ফ্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্সা।
ফুটবলার ও কোচদের দলবদলের খবর আগেভাগেই বলে দেয়ার আলাদা সুনাম আছে ফ্যাব্রিজিও রোমানোর। ইতালিয়ান সাংবাদিকের দেয়া সবশেষ খবর, চেলসিতে যাওয়ার ব্যাপারে ফ্লিকের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। আপাতত তিনি বার্সেলোনার বিকল্প পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যোগাযোগটা রাখছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। লাপোর্তের জন্য তিনিই এখন প্রধান বিকল্প কোচ।
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শিরোপা হারিয়েছে বার্সেলোনা। লিগে আলমেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাভি মন্তব্য করেন, ‘আমরা রিয়ালের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করবো। ভক্তদের বুঝতে হবে যে, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই কঠিন। আমাদের আর্থিক অবস্থা ২৫ বছর আগের মতো এখন আর নেই। আমরা চাইলেই একে-ওকে কিনে ফেলতে পারি না। ভক্তদের এটা বুঝতে হবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা লড়াই করবো না। এরজন্য আমাদের স্থির হওয়া দরকার, আরও সময় দরকার।’
জাভির এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেননি ক্লাব প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তে। বার্সার বোর্ড মনে করছে, জাভি দলের ডাগআউটে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলেন, তার মন্তব্য তাতে চিড় ধরিয়েছে। কোচ নতুন ফুটবলারদের থেকে সেরাটা বের করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মনে করছে বোর্ড।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
চলতি মৌসুমে লা লিগা, কোপা ডেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশ করেছে বার্সেলোনা। রিয়ালের কাছে লিগ হাতছাড়াসহ কোপা ডেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে জাভির শিষ্যদের বিদায় নিতে হয়।
জাভির বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হওয়া ফ্লিক গত সেপ্টেম্বরে জার্মানির কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হন। ঘরের মাঠে জাপানের কাছে ৪-১ গোলে জার্মানি হারের পর তিনি চাকরি হারান। ফ্লিকের অধীনে গত বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়েছিল জার্মানি।
২০২১ সালে জোয়াকিম লো’র দায়িত্ব ছাড়ার পর জার্মানির কোচ হন ফ্লিক। টানা আট জয়ে জার্মান অধ্যায় শুরু করেছিলেন। তারপর ছন্দপতন, দলের অগ্রগতিও ছিল না। ২৫ ম্যাচে তার অধীনে জার্মানি জিতেছে ১২ ম্যাচে।