এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
আইপিএলের চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শিরোপার মঞ্চে সেই হায়দরাবাদকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল কেকেআর। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৬ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত ফাইনালের মঞ্চে লড়বে হায়দরাবাদ।
২০১৬ আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেছিল হায়দরাবাদ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল দলটি। ২০১৮ আসরে ফের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায় ফাইনালে।
রোববার নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে তৃতীয় শিরোপার অপেক্ষায় থাকা কলকাতার মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় গড়াবে লড়াই।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টসে জিতে হায়দরাবাদকে আগে ব্যাটে পাঠায় রাজস্থান। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৭৫ রানর সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। জবাবে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে রাজস্থানের ইনিংস।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
রানতাড়ায় নেমে হায়দরাবাদ বোলারদের তোপে পড়ে রাজস্থান ব্যাটাররা। ধ্রুব জুরেল ও যশ্বী জয়সওয়াল ছাড়া বাকী ব্যাটারদের সবাই ব্যর্থ হন। চারটি চার ও তিন ছক্কায় ২১ বলে ৪২ রান করেন জয়সওয়াল। সাত চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন জুরেল।
হায়দরাবাদের হয়ে শাহবাজ আহমেদ তিনটি এবং অভিষেক শর্মা দুটি উইকেট নেন।
আগে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। ১৩ প্রথম উইকেট হারায় দলটি। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভীড়ে ফিফটি পেয়েছেন ক্লাসেন। চারটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৫০ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটার।
২৮ বলে ৩৪ রান করেছেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ১৫ বলে ৩৭ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠি। এছাড়া শাহবাজ আজমেদ ১৮ বলে ১৮ রান এবং অভিষেক শর্মা ৫ বলে ১২ রান করেন। বাকীদের কেউই পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
রাজস্থানের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ও আবেশ খান তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া সন্দীপ শর্মা নেন দুটি উইকেট।