চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হলিউড সিনেমায় সেতু

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুকে ঘিরে দুই প্রান্তের মানুষের উচ্ছ্বাস। তর যেন আর সইছে না। অপেক্ষায় যেন ফুরাচ্ছে না। শুরু হয়েছে ক্ষণ গণনাও। অপেক্ষার এই সময়টা কাটাতে দেখে নিতে পারেন ‘সেতু’ নাম নির্ভর দারুণ কিছু সিনেমা। এক নজরে জেনে নিন তেমনই ১০টি সিনেমা সম্পর্কে:

দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কোয়াই (১৯৫৭)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান অধ্যুষিত (বর্তমান থাইল্যান্ড) এক প্রিজন ক্যাম্পে যুদ্ধবন্দি ব্রিটিশ সৈন্যদের দিয়ে কাওয়াই নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের ভার দেওয়া হয় জাপানি কর্নেল সাইটোর উপর। যুদ্ধবন্দি ব্রিটিশ সেনাদের দলপতি কর্নেল নিকেলসন এতে আপত্তি জানান। তার এক কথা জেনেভা কনভেনশন অনুসারে কোন প্রিজনার অফিসার শারীরিক শ্রম দিতে বাধ্য নয়। যখন অন্যান্য সৈন্যদের ব্রিজ নির্মাণের কাজে পাঠানো হয়, তখন তিনি অফিসারদের কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্নেল সাইটো তাকে বন্দি করে রাখেন কোন রকম খাদ্য এবং পানি ছাড়া। অন্যান্য অফিসারদের শাস্তির ব্যবস্থা করেন। পরে সৈন্যদের অসহযোগিতা বা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যর্থতার কারণে কর্নেল সাইটো বুঝতে পারেন নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ব্রিজ নির্মাণ অসম্ভব। তিনি বাধ্য হন কর্নেল নিকেলসনের সাথে সমঝোতায় আসতে। ব্রিজ তৈরির কাজে ব্রিটিশ অফিসারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেন। কর্নেল নিকেলসন কাওয়াই নদীর ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করেন। এদিকে প্রিজন ক্যাম্প থেকে এক মার্কিন নেভি কমান্ডার শোয়ার্জ পালাতে সক্ষম হন। আহত অবস্থায় তিনি উদ্ধার হন। ভাল চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধার জন্য মাউন্ট লাভালিয়া হাসপাতালে তিনি নিজের পরিচয় গোপন করে এক মৃত ব্রিটিশ অফিসারের পোশাক পরে আসেন। কাওয়াই নদীর উপর ব্রিজ তৈরির খবর জানতে পেরে, তা ধ্বংসের জন্য মিশনে নামেন। মিশনের দায়িত্ব পাওয়া মেজর ভার্ডেন, শোয়ার্জের আসল পরিচয় জানতে পেরে তাকে তার সাথে মিশনে যেতে বাধ্য করেন।

দ্য ব্রিজ (২০১৩)
একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডির পরে কার্লি ইভান্স নতুন সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারেননি। সব আশা হারিয়ে তিনি নিজেকে বন্ধু, পরিবার এবং গির্জা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। দুর্বল এক মুহূর্তে তিনি নিজেকে একটি সেতুতে একা দেখতে পান যেখানে তিনি আত্মহত্যার জন্য গিয়েছেন। তখন একটি রহস্যময় মেয়ে উপস্থিত হয় এবং ভবিষ্যতের কিছু কথা বলে দেয়। মেয়েটির বলা কথাগুলোর কারণে কার্লির ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত হয়।

ব্রিজ অব স্পাইজ (২০১৫)
নিউ ইয়র্কের আইনবিদ জেমস ডোনোভান (টম হ্যাংকস)। পরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পক্ষে কাজ করেন ডোনোভান। যিনি রুশ গুপ্তচর রুডলফ আবেলকে আইনি সুরক্ষা দেন। তখন তার দায়িত্ব পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সমঝোতা করে পাওয়ারস নামের একজন মার্কিন পাইলটকে ফিরিয়ে আনা। ডোনোভান এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ায় তার স্ত্রী এবং সন্তানেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পড়েন ।

দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি (১৯৯৫)
ছবিটি ১৯৬৫ সালের পটভূমিতে তৈরি ইতালির যুদ্ধের সময়ের এক কনে ফ্রান্সেসকা জনসন (মেরিল স্ট্রিপ)কে নিয়ে তৈরি। স্বামী ও দুই সন্তানের সঙ্গে আইওয়া ফার্মে থাকেন তারা। সেই বছর তার সঙ্গে দেখা হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ফটোসাংবাদিক রবার্ট কিনকেড (ইস্টউড) এর সঙ্গে, যিনি ম্যাডিসন কাউন্টির ঐতিহাসিক আচ্ছাদিত সেতুর ছবি তুলতে এসেছেন। ফ্রান্সেসকার পরিবার সেই সময়ে শহরের বাইরে থাকে। এই সময়ে ফ্রান্সেসকা ও রবার্ট কিনকেড এর মাঝে গড়ে উঠে নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক। মাত্র চারদিনের সেই প্রেমের সম্পর্কের এই গল্প দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।

দ্য লাভার্স অন দ্য ব্রিজ (১৯৯১)
গৃহহীন মদ্যাসক্ত অ্যালেক্স ও অন্ধপ্রায় মিশেল দুজনেই রাত হলে প্যারিসের সেইন নদীর উপর অবস্থিত প্রাচীনতম সেতু পন্ট নিউফ-এ ঘুমান। তাদের মাঝে পরিচয় হয় এবং গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

দ্য গার্ল অন দ্য ব্রিজ (১৯৯৯)
এক রাতে সেতুতে এক অপরিচিত নারীকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে দেখে বাঁধা দেয় এক এন্টারটেইনার। এরপর তাদের মাঝে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত, অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক।

অ্যা ব্রিজ টু ফার (১৯৭৭)
অপারেশন মার্কেট গার্ডেন, সেপ্টেম্বর ১৯৪৪: জার্মান লাইন ভাঙার আশায় মিত্ররা নেদারল্যান্ডসের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু কৌশলে দখল করার চেষ্টা করে।

দ্য ব্রিজ অ্যাট রেমাজেন (১৯৬৯)
মিত্রবাহিনী কাছাকাছি চলে আসার পর জার্মানরা তাদের নিজস্ব লোকদের ভুল দিকে আটকে রেখে রাইন নদীর উপরের শেষ সেতুটি উড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়?

দ্য ব্রিজেস অ্যাট টোকো-রি (১৯৫৪)
কোরিয়ার যুদ্ধের সময় এক নৌবাহিনীর ফাইটার পাইলটের কাঁধে ব্রিজে বোমা বসানোর দায়িত্ব পড়ে। নিজের ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দেখা যায় তাকে।

অ্যা ব্রিজ টু অ্যা বর্ডার (২০১৪)
পাকাল গোমেজ প্রাক্তন সীমান্ত টহল অফিসার। তিনি এক সেতু অতিক্রম করে একটি সীমান্তে পৌঁছান। সেখানে তাকে যে অপরাধ তিনি করেননি তার জন্য রেলপথ কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি সন্ত্রাসীতে পরিণত হন।