র্যাংকিংয়ে তিউনিশিয়ার চেয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে ডেনমার্ক। এগিয়ে থাকার প্রমাণ মাঠেও দেখিয়েছেন ডেনিশরা। অবশ্য আক্রমণের পরিণতি টানতে পারেনি। প্রতিপক্ষের রক্ষণ গলাতে পারেননি তিউনিশিয়ানরাও। অফসাইডে বদৌলতে ম্যাচও শেষ হয়েছে স্কোরলাইন শূন্য রেখে। কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটিই প্রথম পয়েন্ট ভাগাভাগির ম্যাচ।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মহাযজ্ঞের ডি গ্রুপের ম্যাচটিতে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের পসরা দেখা গেলেও গোল পায়নি কোনো দল। ২০ মিনিটে তিউনিশিয়া ও ৫৬ মিনিটে ডেনমার্ক বল জালে জড়ালেও অফসাইডের ফাঁদে থেমেছে উদযাপন। কেজার-এরিকসেন তাই পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই খুশি থাকতে হয়েছে।
মঙ্গলবার পুরোটা সময় রক্ষণে ব্যস্ত থাকলেও প্রতি আক্রমণেও ডেনিশ দুর্গে কাঁপন ধরিয়েছিল তিউনিশিয়া। ৩৮ শতাংশ বল দখলে রেখে ছয়বার চেষ্টা করেছিল। ডেনমার্ক আটটি শটের পাঁচটি রেখেছিল গোলমুখে। প্রত্যেকবার ডেনিশদের হতাশ করেছে তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক আয়মেন দাহমেন।
ডেনমার্ক-তিউনিশিয়ার দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎ ২০০২ সালে। প্রীতি ম্যাচটিতে ২-১ গোলের জয় পেয়েছিল ডেনিশরা। কাসপের হুলমান্ডের শিষ্যরা এবার পারলেন না, মুহূর্মুহু আক্রমণ চালিয়েও ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারেননি। ২৬ নভেম্বর ফ্রান্সকে মোকাবেলা করবে ডেনমার্ক, একই দিনে তিউনিশিয়ার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখায় ডেনমার্ক। প্রতি আক্রমণে উঠে ২০ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে দেয় তিউনিশিয়া। অফসাইডের খাড়ায় গোলটি বাতিল করে রেফারি। তিউনিশিয়ার ওপর তারপর চড়াও হন ডেনিশরা। খেলার ৩২ মিনিটেই আদায় করে নেন ৫টি কর্নার। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হয়।
তিউনিশিয়াও কম যায়নি। পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে কিন্তু গোলমুখে বল রাখতে ব্যর্থ হয়। ৪৩ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে তিউনিশিয়া। ডি বক্সে পাওয়া বলে চিপ করলেও তা আটকে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক। কর্নার পেলেও তা থেকে গোল আদায় করতে পারেনি তিউনিশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ডেনিশরা। রক্ষণভাগ সামলে পাল্টা আক্রমণেও ওঠে তিউনিশিয়ানরা। কয়েকবারের চেষ্টায়ও ডেডলক ভাঙতে পারেনি কোনো দল। ৫৬ মিনিটে আন্দ্রেয়াস স্কভ ওলসেনের গোলও বাতিল হয় অফসাইডে। নির্ধারিত সময়ের পর আরও আট মিনিট খেলা চললেও স্কোরলাইন শূন্য থেকেই শেষ হয় ডেনিশ-তিউনিশিয়ার দাপট।