মাঠের লড়াইয়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা জাপানের কাছে হেরে বড় ধাক্কাই খেয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। পরাজয় তো বটেই, খেলা শুরুর আগে দলটির আরেক কাণ্ড নিয়েও চলছে তোলপাড়। এদিন মুখ ঢেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জার্মানির খেলোয়াড়রা। কিসের প্রতিবাদ ছিল?
ফিফা আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, সমকামিতাকে সমর্থন করা ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড বেঁধে কোনো দলের খেলোয়াড় মাঠে নামলে তা ভালো চোখে দেখা হবে না। সেক্ষেত্রে জরিমানা এবং একটি হলুদ কার্ডের ঝুঁকি ফুটবলারদের থাকবে।
কাতারের নিয়ম ও ফিফার এমন পদক্ষেপ সমর্থন করেনি জার্মানি, ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনের সময় জার্মান দলের ফুটবলাররা সেটারই প্রতিবাদ করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ম্যানুয়েল নয়্যারের দল হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। মানে কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদ করছে।
পরে এ সম্পর্কে অফিসিয়াল টুইটার পাতায় জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক বিবৃতি না। মানবাধিকার নিয়ে সমঝোতা চলে না। মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত। তবে সেটা এখানে মানা হয়নি। সেই কারণেই এই বার্তাটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর্মব্যান্ড পরতে না দেয়া মানে কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া। তবে আমরা আমাদের জায়গাতেই আছি।’
‘আর্মব্যান্ডের মাধ্যমে আমাদের অবস্থান জানাতে চেয়েছিলাম। জার্মানি জাতীয় দলেও আমরা এটা করে থাকি। বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। জাতিগতভাবে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের কণ্ঠ শোনাতে চেয়েছিলাম।’
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফাসের হাতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড দেখা যায়। তিনি ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেছেন। তার ঠিক পাশেই বসেছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
দোহায় পৌঁছানোর পর ফাসের বলেন, ‘যেভাবে ফুটবল সংস্থাগুলোকে চাপে ফেলা হচ্ছে তা একেবারেই উচিত নয়। অত্যাচার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফিফা আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, এটা ভাবাই যায় না। আধুনিক সময়ে এই কাজ একেবারেই ঠিক নয়।’