শিরোপার প্রত্যাশা নিয়ে কাতারে আসা আর্জেন্টিনা র্যাঙ্কিংয়ের ৪৮ ধাপ পিছিয়ে থাকা সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরুটা করেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। পরে টানা দুই জয়ে শেষপর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেছে আলবিসেলেস্তেরা।
তবে পা মাটিতেই রাখছে মেসির দল। নকআউটের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সমীহই ঝরেছে কোচ লিওনেল স্কালোনির কণ্ঠে। বিশ্বমঞ্চে সব দলকেই যে সমান গুরুত্ব দিতে হবে, সেটা দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চেয়ে আর ভালো কেইবা বুঝেছে!
কাগজে-কলমের হিসেবে অবশ্য আকাশী-নীলরা অনেকটাই এগিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিনে আছে আর্জেন্টিনা। ৩৮তম স্থানে অস্ট্রেলিয়া। মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস আর্জেন্টিনার পক্ষেই কথা বলছে। ৭ বারের দেখায় তারা জিতেছে ৫ বার, একবার অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচ হয়েছিল ড্র।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও দুদল মুখোমুখি হয়নি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্লে-অফ ম্যাচে অবশ্য লড়েছিল। প্রথম লেগের খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতে মূলপর্বের টিকিট কেটেছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল।

সামর্থ্য ও বাস্তবতার নিরিখে মেসি-ডি মারিয়াদের হারানোর সম্ভাবনা অজিদের কমই বলা চলে। ফ্রান্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে আসর শুরু করলেও তিউনিশিয়া ও শক্তিশালী ডেনমার্ককে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে আসা দলটিকে হেয় করার অবকাশও নেই।
আর্জেন্টিনাকে হারাতে সুদূর অতীত থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৮ সালে তখনকার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অজিরা বিস্ময় জাগিয়েছিল। সেটাই ছিল দুদলের প্রথম আন্তর্জাতিক দেখা। ৩২ বছর আগের সেই মধুর স্মৃতি কাতারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে দলটি!