চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নিরাপত্তার স্বার্থে হেলিকপ্টারে চড়তে হল মেসিদের

বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে যখন নিশ্চিত হল শিরোপা, তখন থেকেই চলছিল আর্জেন্টিনায় উদযাপন। পরে চ্যাম্পিয়নরা দেশে ফিরলে সেটির বাধ ভেঙে জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়। রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে লিওনেল মেসিরা পৌঁছে রীতিমত ভেসেছেন জনজোয়ারে। অবস্থা এমনই বেগতিক হয়েছিল যে ছাদখোলা বাস থেকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিতে হয় বিশ্বকাপজয়ী দলকে।

মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে মেসিদের হেলিকপ্টারে করে শহর প্রদক্ষিণ করা হয়। জনতার ঢল বেশি নামার কারণে কেন্দ্রীয় ওবেলিস্ক স্মৃতিস্তম্ভে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাদ দেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেসিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের স্থান ওবেলিস্কে যোগ দিয়েছিলেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।

নিজ ভূমিতে মেসিকে বরণও করা হয়েছে রাজার বেশে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে বুয়েনস আয়ারসে পৌঁছাতেই মানব ঢল নামে। বিকালে পুলিশের দল ও মেসিদের বহনকারী ছাদখোলা বাসটি ধীর গতিতে জনসমুদ্রে পেরিয়ে সামনে এগোয়। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন সমর্থক ফ্লাইওভার ও ব্রিজ থেকে ফুটবলারদের বাসে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতির পর বাধ্য হয়েই ছাদখোলা বাসে বিজয় প্যারেডের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

শিরোপা জয়ের প্যারেডের সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘটনায় সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান চিকুই তাপিয়া, ‘চ্যাম্পিয়নরা আর বাসে করে উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন না। যারা এখানে এসেছেন তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

বুয়েনস আয়ারসে শিরোপা উৎসব শেষে মেসি চলে যান জন্মস্থান রোজারিওতে। বাকি সতীর্থদের বিদায় জানালেও এ সময় মেসির সঙ্গে ছিলেন রোজারিওর আরেক তারকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। বাকিরাও যার যার গন্তব্যে চলে যান।

এরআগে, লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে সমতা শেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে এমি মার্টিনেজের নৈপূণ্যে ৪-২ ব্যবধানে বিশ্বকাপ জিতে নেয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।