চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘তল্পিতল্পা গুটিয়ে নেন টেন হাগ’

ইউনাইটেডের বোর্ড সদস্য হলে বলতেন গ্যাবি

‘এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কি সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড’ —ফুটবলবিশ্বে কথাটি এখন বহুল আলোচিত। না হওয়ার কারণও নেই! হতাশায় মোড়ানো মৌসুম পার করার পর নতুন মৌসুমেও ভুলের বৃত্তেই ঘুরছে ঐতিহ্যবাহী ইংলিশ ক্লাবটি। দর্শক, সমর্থক হয়ে ফুটবলবোদ্ধা— ইউনাইটেডের এমন রূপে বিস্মিত সবাই।

অ্যাস্টন ভিলার সাবেক স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল অ্যাগবোনলাহর একটু বেশিই বিরক্ত। প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরে যাওয়ার সমালোচনায় কোনো রাখঢাক রাখেননি ইংলিশম্যান। এমুহূর্তে যদি ইউনাইটেডের বোর্ডের সদস্য হতেন, তাহলে প্রথমেই ডাচ কোচ এরিক টেন হাগকে নাকি ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিতেন। পরে দলের নিরবঘাতক ব্রুনো ফের্নান্দেসে নজর ঘোরাতেন।

কোচ টেন হাগের উপর রাগ ওঠার কারণও দেখিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল। তার মতে, সাবেক আয়াক্স বস কসাইখানা খুলে বসেছেন। ব্রাইটনের বিপক্ষে হারের পর ব্রেন্টফোর্ডে বিধ্বস্ত হওয়ায় একটা বাজে রেকর্ডও গড়েছেন ৫২ বর্ষী ডাচ কোচ। একশ বছরের বেশি সময় পর ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে লিগের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছেন। ১৯২১ সালে লিগের প্রথম দুম্যাচেই হেরেছিল জন চাম্পম্যানের দল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করতে ব্যর্থ হওয়া ইউনাইটেড লিগ টেবিলে দুটি ম্যাচ হেরে তলানিতে আছে। লিগে এক গোল পাওয়ার বিপরীতে হজম করেছে ছয় ছয়টি গোল। তাতেই সবার মতো তেতে উঠেছেন গ্যাবি, ‘‘এটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হতে পারে না। বোর্ডের সদস্য হলে এমন ম্যাচের পর আমি ভাবতাম, ‘টেন হাগ তুমি ব্যাগপ্যাক গোছাও।’’

ইউনাইটেডের এই দলটিকে গ্যাবির কাছে স্রেফ ‘অপেশাদার’ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন মাঠে নেমেছি, বল পেয়েছি, শট দিয়েছি— এমন। পেশাদারিত্বের কোনো বালাই নেই। এমন নড়বড়ে দলকে মাঠে খেলতে দেখা অস্বস্তির গ্যাব্রিয়েলের কাছে।

গ্যাব্রিয়েল অ্যাগবোনলাহর

রেড ডেভিলদের এমন দশার দায় কোচ ছাড়াও খেলোয়াড়দের দায় দেখছেন গ্যাবি। বিশেষ করে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ফের্নান্দেসকে নিয়ে বাজি ধরেছেন তিনি, ‘হ্যারি ম্যাগুয়ের, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, র‌্যাশফোর্ড, স্যাঞ্চোদের সহজেই দায় চাপানো যায়। আমার মতে নামটা ফের্নান্দেস। প্রিমিয়ার লিগে ভালো শুরু সত্ত্বেও এপর্যন্ত তাকে দলের সবচেয়ে বাজে সতীর্থ মনে হয়েছে।’

নিজের দাবির পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন গ্যাবি, ফের্নান্দেস এমন একজন খেলোয়াড় যার ভুলে অন্যরা ভোগে। সেই ভুলে দল হারে, বেঞ্চে বসে অন্যরা, সমালোচিত হওয়া থেকে পার পেয়ে যান এই পর্তুগিজ। যদি তার জায়গায় ফ্রেঞ্চ ফুটবলার পল পগবা হতেন, তাহলে মিডিয়া তার শেষ দেখে ছাড়তেন।’

‘ফের্নান্দেস যখন তখন এমন করেন। যদি কাজটি পগবা করতেন মিডিয়া তাকে মেরে ফেলার অবস্থা করত। কিন্তু ফের্নান্দেস সব নিঃশেষ করে পালিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তাকে কিছু করতে দেখেছেন? আমার মনে পড়ছে না তিনি ঠিক কবে দারুণ ফুটবল খেলেছিলেন।’