অপেক্ষা ৩০ জুনের। সেদিন ‘ঢাকা ডার্বি’। ফেডারেশন কাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডান। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে গড়াবে ফাইনাল। তার আগেই দুদল পেলো ‘ড্রেস রিহার্সল’র সুযোগ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের লড়াইয়ে মেতেছিল একই স্টেডিয়ামে। ‘ড্র’ হয়েছে দুই প্রতিপক্ষের দ্বৈরথ।
ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে প্রায় ১৪ বছর পর দেখা হচ্ছে আবাহনী ও মোহামেডানের। সবশেষ ২০০৯ সালে দেখা হয়েছিল দুদলের। সেবছর আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাদা-কালো বাহিনী। এরপর আর ফাইনালের টিকিট কাটতে পারেনি ১০ বার শিরোপা জেতা দলটি।
অন্যদিকে ফেডারেশন কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। রেকর্ড ১২বার শিরোপা জেতা দলটি এবার নামবে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে। তার আগেই দেখা হয়ে গেল দুদলের।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। মোহামেডানের হয়ে গোল করেছেন সুলেমানে ডিয়াবাতে। আবাহনীকে সমতায় ফেরান দানিয়েল কলিনড্রেস সোলেরা।

ম্যাচে অবশ্য সমানে-সমান লড়েছে দুদল। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল দুদলই। যথার্থ ফিনিশিংয়ের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে গোল আদায়ে। ম্যাচের প্রথম গোলটি পেয়েছে মোহামেডান। পেনাল্টি থেকে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবাহনী ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন সুলেমানে ডিয়াবাতে। এরপর স্পর্ট কিকে গোল আদায় করেন।
বিরতির পরও একইতালে চলতে থাকে লড়াই। ৬৫ মিনিটে মোহামেডান সুযোগ পেলেও সে যাত্রায় আবাহনীকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। ডিয়াবাতের শট ঠেকিয়ে দেন। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় আবাহনী। মোহামেডান বক্সে ফাউলের শিকার হন কলিনড্রেস। স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরান দলকে। এরপর কেউই জালের দেখা না পাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুদল।