দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় রাতে আমবাগান পাহারা দেওয়া জামাতা ইমরান আলীকে রাতের খাবার দিতে গিয়ে বিষধর সাপের দংশনে প্রাণ গেল শ্বশুর সামসুল ইসলামের।
রোববার ১১ জুন দুপুরে নিজ বাড়ির পাশে সামসুল ইসলামের মরদেহ দাফন করা হয়। এরআগে মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। রাত ৮টার দিকে দাড়িয়াপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাগানের ভেতর ঢুকতেই পায়ে কামড় দেয় বিষধর সাপ।
মৃত সামসুল ইসলাম মাহমুদপুর ইউনিয়নের মোগরাপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিন মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাফিউল মোজনেবিন জানান, প্রতিদিনের মত শনিবার রাতে আমবাগানে পাহারারত জামাতাকে রাতের খাবার দিতে যান শামসুল ইসলাম। বাগানে প্রবেশ করলে তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে স্থানীয় ওঝা নগেন হাঁসদার কাছে নেওয়া হয়। ওঝা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সামসুল ইসলামকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তিনি বলেন, পরে মধ্যরাতে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে পরিবারের লোকজন তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার সময় রাত ১২টার দিকে দিনাজপুর শহরের পথে তার মৃত্যু হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরেদৌ ওয়াহিদ জানান, সাপের কামড়ে একজনের মৃত্যুর খবর তারা জেনেছেন। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবারের কেউ এই বিষয়ে থানায় জানাননি। মৃত্যুর খবরটি জানতে পাওয়ার আগেই পরিবারের লোকজন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করে ফেলেছেন। এসব বিষয়ে সচেতন থাকার পাশাপাশি সাপে কামড় দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে নেওয়ার পরমার্শ দেন তিনি।