গাইবান্ধায় পানির অভাবে পাট পঁচাতে পারছেন না চাষিরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার অনেক কম জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। বাজার দর নিম্নমুখী হওয়ায় কাঙ্খিত দাম নিয়েও শঙ্কা রয়েছে চাষিদের।
চলতি বছর জেলায় ১৫ হাজার পাঁচশ’ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। দেশী এক-তিন-নয়ের পাশাপাশি ডি-একশ’ ৪৪, বিজেআরআই তোষা পাট-৭, মেস্তা-৭, ৩, জেআরও-পাঁচশ’ ২৪ ও বারি-এক জাতসহ উচ্চ ফলনশীল নানাজাতের পাট চাষ হয়েছে এবার। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া ভালো থাকলেও কাটার আগে অনাবৃষ্টি ও খরায় গাছ মোটা হতে পারেনি।
পাট জাগ দিতে না পেরে অনেক চাষি পাট কেটে ক্ষেতেই স্তুপ করে রেখেছেন। দাম নিয়েও সন্তুষ্ট নয় তারা।
দাম ভালো পেতে কৃষকদের রিবন রেটিংসহ আধুনিক পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উন্নতজাত ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ভালো মানের পাট উৎপাদনে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।