চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রতিটি খাবারই হতে হবে ‘মাইন্ডফুল ইটিং’

খাবার খেতে আমরা সবাই কম-বেশি পছন্দ করি। কিন্তু খাবারগুলো কী সব আমাদের পছন্দের? খাবারগুলোর কী আসলেই আমাদের প্রয়োজন আছে? এমন অনেক সময় হয় যখন আমাদের ক্ষুধা না লাগলেও আমরা খাবার খাই। আবার ঠিক কতটুকু খাবার আমাদের প্রয়োজন তা না বুঝেই খাই আমরা।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে খাবারই খান না কেন খাবারের সঙ্গে মনের সম্পর্ক গড়ে না তুলতে পারলে খাবর খেয়ে কোনো লাভ হয় না। ইদানীং ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কী এই মাইন্ডফুল ইটিং?
খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সহজ উপায় হলো এই মাইন্ডফুল ইটিং। যার নেপথ্যে রয়েছে সচেতনতা। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন রকম পন্থা বেছে নেন। কেউ নিজের খাবার তালিকায় শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখেন। আবার কেউ শুধু তরল খাবার খেয়েই শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনার শরীর কী চাইছে বা যে খাবার আপনি খাচ্ছেন, তা আপনার জন্য আদৌ প্রয়োজন কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করাও মাইন্ডফুল ইটিং এর মধ্যে পড়ে।

ক্ষুধা লাগার সাথে মাইন্ডফুল ইটিং এর সম্পর্ক
ক্ষুধা পেয়েছে বলে খাচ্ছেন, না কি শুধুমাত্র চোখের ক্ষুধা থেকে খাচ্ছেন, এই বিষটির পার্থক্য বোঝা জরুরি। ক্ষুধা না পেলেও অনেকে মন ভাল করার জন্য পছন্দের খাবার খেয়ে ফেলেন। কখনও সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, পরিমাণে কম খাবার খেয়েও কিন্তু মনের দিক থেকে ভাল থাকা যায়। যদি খাবারের সঙ্গে সেই সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়।

মাইন্ডফুল ইটিং চর্চা
পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস শুরু করতে হবে মুদিখানার বাজারে তালিকা করার সময় থেকেই। কোন খাবারের কেমন পুষ্টিগুণ তা জেনে, তবেই কিনবেন। এ ছাড়াও সারা দিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি যখন যে খাবারই খান তার স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ উপভোগ করে খেতে হবে। সব খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে, মনোনিবেশ করে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।