চট্টগ্রাম থেকে: টি-টুয়েন্টি হল রানের খেলা। চার-ছক্কা দেখার জন্যই মাঠে আসেন দর্শক। বাংলাদেশের মাঠে চিত্রটা ভিন্ন। বরাবরই দেখা মেলে স্পিনিং উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
২০২১ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের ছকে চট্টগ্রামেও হচ্ছে স্পিনিং উইকেট। চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডের মন্থর উইকেটেই সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড।
মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা ছিল। তাতে মাঝারি পুঁজি নিয়েও লড়াই জমিয়ে তুলেছিল তামিম ইকবালের দল। পরের ম্যাচে উইকেট বদলায়। স্পোর্টিং উইকেট পেয়ে ইংলিশরা তোলে তিনশর বেশি রান। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের।
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ায় স্পোর্টিং উইকেটে খেলা ছিল দলীয় পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু ম্যাচ হারের পর ভাবনার পরিবর্তন আসে দ্রুতই। প্রতিপক্ষকে সহজে ব্যাটিং করার উইকেট দিলে সেটি যে বাংলাদেশের জন্যই হুমকি, সেটি প্রমাণিত হয়। ফলে ভাবনায় আসে বদল।
চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডের উইকেট ছিল মন্থর। তাতে সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম জ্বলে ওঠেন। মাঝারি পুঁজি নিয়েও ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ পায় স্বস্তির জয়।
একই ফর্মুলায় টি-টুয়েন্টির রেসিপি তৈরি করছে বাংলাদেশ। অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ তো রয়েছেনই, স্কোয়াডে বাঁহাতি স্পিনার তিনজন। সাকিব থাকবেন, নাসুম আহমেদ কিংবা তানভির ইসলাম হতে পারেন বাঁহাতি স্পিনে দ্বিতীয় অপশন।
চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হয়। এবার ভিন্নতা থাকছে। উইকেট নিয়ে সফরকারীদেরও ধন্দে ফেলা হয়নি। সারাদিন খোলা রেখে রোদ লাগানো হয়েছে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের উইকেটে।
উইকেট দেখে ইংল্যান্ড দলের পেসার ক্রিস ওকস সংবাদ সম্মেলনে জানালেন স্পিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাদের সামনে। বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তার আগে বলে গেছেন, ‘দুই দিন আগে ওয়ানডেতে যা দেখেছি। আমার মনে হয় একই উইকেটেই খেলছি। ফলে দুই দিনে বদলানো যাবে না। একই হবে।’