ইমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফাইনালের দৌড়ে প্রতিপক্ষ পায় ভারতকে। সেমিতে সাকিব-রাকিবুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে থামিয়েছে স্বল্প রানে। জয়ের জন্য সৌম্য-সাইফদের প্রয়োজন ২১২ রান।
কলম্বোতে টসে জিতে ভারত ‘এ’ দলকে ব্যাটে পাঠায় বাংলাদেশ। পেসার-স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফর্মে ৪৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট তুলে নেয়। ভারত সংগ্রহ পায় ২১১ রানের।
ব্যাটে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি ভারত। রান তোলার গতিও ছিল স্বাভাবিক। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৯ রানে সাই সুদর্শনকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৪ বলে ২১ রান করে যান তিনি।
১৪.৪ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে রাকিবুলের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জসি। রিপ্লেতে দেখা যায় ভারতীয় ব্যাটারের ব্যাট হাওয়ায় ভাসা অবস্থায় স্টাম্প ভেঙেছেন উইকেটরক্ষক আকবর আলী। টিভি আম্পায়ার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে দেখে প্রথমে লাল সংকেত দেখালেও এক মিনিট পর সবুজ সংকেত দেখান। সেযাত্রায় হতাশ হতে হয় টাইগারদের।
পরে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রান তোলেন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জসি। ১৮.১ ওভারে ৭৫ রানে সাইফ হাসান ফেরান জসিকে। ২৯ বলে ১৭ রান করে যান তিনি।
পরের ওভারে রাকিবুলের শিকার হন অভিষেক। ৬৩ বলে ৩৪ রান করে ধরা দেন সাকিবের হাতে। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। একপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক যশ ধুল। তার ফিফটিতে ২১১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ৮৫ বলে ৬৬ রান করে রিপন মণ্ডলের শিকার হয়ে ফেরেন যশ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী, তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও রিপন মণ্ডল নেন একটি করে উইকেট।