আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির সংলাপ। ইসিতে ধারাবাহিকভাবে নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ হবে।
দেশের মানুষ নির্বাচন পছন্দ করেন এবং ভোটের মাধ্যমে মতপ্রকাশ করার এই সংস্কৃতি দেশের গণতন্ত্রের জন্য আশাবাদের একটি জায়গা। আর এই নির্বাচন কার্যপরিচালনা করা সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচনকালীন সরকার, ইভিএম ও নানা প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসছে ইসির সংলাপে।
সংলাপের বিভিন্ন সেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সংবিধানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন বলে আমাদের মনে হয়েছে। সংবিধান মেনে ভোট হবে নির্ধারিত সময়ে এবং জাতির স্বার্থে অবাধ এবং অংশগ্রহণ মূলক ভোট আয়োজন করায় কমিশনের দায়িত্ব বলে তিনি উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন সময়ে।
দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই সংলাপে অংশ নেবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা। সংলাপে অংশ নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের মতামত ও শঙ্কা-সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। সবমিলিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশের রাজনীতিতে, যদিও শেষ পর্যন্ত কী ফলাফল আসবে তা বলা খুবই মুশকিল।
সব কথার শেষ কথা, জনগণ যেনো তাদের নাগরিক অধিকারের অংশ ভোট ঠিকভাবে প্রদান করতে পারে। আমাদের আশাবাদ, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে এবং ইসি সেই ভোটের পরিবেশ তৈরি করে জনপ্রত্যাশা পূরণ করবে।