কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এবং দেশের ৪টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও দেড়শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ ভোট।
সক্ষমতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে বর্তমান কমিশনের জন্য কুমিল্লার ভোটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
কুমিল্লা সিটির ভোট নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটাররা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সদ্য সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল ইসলাম সাক্কুর হ্যাটট্রিক বিজয় হবে, না কি প্রথমবারেই জয়ের মুকুট আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নিশ্চিত হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ বুধবার ভোটের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত।
ভোটাররা বলছেন-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের নগর পিতা নির্বাচন করতে চান। এক্ষেত্রে তাদের দাবি বহিরাগত, কালো টাকা এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন-নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে তাদের পক্ষ থেকে যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সব নেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা সিটির ভোটের সঙ্গে আজ পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড়শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র দখল কিংবা পেশিশক্তির ব্যবহারসহ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতা যাতে ঘটতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪ সহস্রাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম বিতরণ করা হয়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথমবার পুরোপুরি ইভিএমে ও দ্বিতীয় নির্বাচন আংশিক কেন্দ্র ইভিএমের মাধ্যমে হলেও এবার ১০৫টি কেন্দ্রের সবকটিতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।
নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোয় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এক হাজার ৬শর বেশি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে। নির্বাচনি পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনি এলাকায় এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো। ভোটকেন্দ্রে মালামাল পৌঁছে গেছে। ভোট নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশন দেখছে না।
ইসি জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নির্বাচনি এলাকায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। শুধু যেসব প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলোয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।