বাঙালির অন্যতম বৃহত্তর আয়োজন অমর একুশে বইমেলা শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। করোনার কারণে এরআগে সীমিত আকারে হলেও এবারের মাসব্যাপী বইমেলায় ফিরে এসেছিল প্রাণের স্পন্দন। উদ্বোধনের পরে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল বইমেলা।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিকেল ৫টায় শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো আবুল মনসুর। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এবারেও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিবছরের মতো গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনীকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হবে। শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে আহমদ রফিক রচিত ‘বিচ্ছিন্ন ভাবনা’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুক্স, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ রচিত বাংলা ‘একাডেমি আমার বাংলা একাডেমি’ বইয়ের জন্য ঐতিহ্য এবং হাবিবুর রহমান রচিত ‘ঠার : বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হবে।
এছাড়া ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খি-কে ‘রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হবে।
২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁথিনিলয় (প্যাভিলিয়ন), নবান্ন প্রকাশনী (২-৪ ইউনিট), উড়কি (১ ইউনিট) -কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২, কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ এবং অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে বিভিন্ন গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
শেষ দিনে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা।