ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগাম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আরও আগেই। এখনও চলছে টিকিট বিক্রি। বাস-ট্রেনের টিকিট যেন এখন সোনার হরিণ। টিকিট পেতে রাজধানীতে রাত থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষা করছে বলেও জানা গেছে।প্রতি বছর ঢাকা থেকে ঈদ যাত্রা মানে অপরিসীম দুর্ভোগ আর সীমাহীন কষ্ট পারি দেয়া। মানুষের ভোগান্তি যেন নরক যাত্রার মত সীমাহীন দুর্দশাগ্রস্ত।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হচ্ছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ জুলাইয়ের টিকিট ৩ জুলাই, ৮ তারিখের টিকিট ৪ জুলাই এবং ৯ তারিখের টিকিট মিলবে ৫ জুলাইয়ে।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, স্টেশনে কাউন্টার থেকে এবং অনলাইনে দুভাবেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
ট্রেনের টিকিট বিক্রির ভোগান্তির সেই পুরনো চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। টিকিট নামের সোনার হরিণ পেতে অপেক্ষা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করেছেন অনলাইনে। সেখানেও অভিযোগ বিস্তর। টিকিট প্রায় শেষ হলেও কোন কোন কাউন্টারে দুই একটি টিকিট পাওয়া গেলেও সেটি পেছনের সিটে। নানা অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ঈদের আগের যানজট ও নানা বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকেই আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চলাচল করায় একদিকে যেমন সময় সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে ভ্রমণ। ঈদের আগের সময়টাতে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে প্রশাসন কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা যাত্রীদের।
ঈদযাত্রায় অন্যান্য বছর ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী হলেও এবার নির্বিঘ্ন হবে বলে আমরাও আশা করি। এজন্য এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সেই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।