ঈদের তৃতীয় দিনে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচারিত হবে তারকাবহুল দুই টেলিফিল্ম। যার একটি ‘স্বপ্ন দেখার দিনগুলো’ ও অপরটি ‘বুনোফুল’।
অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ‘স্বপ্ন দেখার দিনগুলো’ প্রচারিত হবে ঈদের তৃতীয় দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এবং মনোজ প্রামানিক ও মুফতুহা জান্নাত অভিনীত ‘বুনোফুল’ প্রচারিত হবে বিকাল সাড়ে ৪টায়।
বড় লোক বাবার একমাত্র সন্তান অর্ণব লিউকেমিয়ার রোগী। আর মাত্র কয়েকটা মাস বাঁচবে জেনেও অর্ণব’র দমে যাওয়ার পাত্র নয়। প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর অর্ণব’র জীবনে শুধু একটাই অপূর্ণতা, মা-বাবা’র ভালবাসা না পাওয়া। খুব ছোট বেলাতেই অর্ণব তার বাবা-মা’কে হারিয়েছে। চাচা-চাচী তাকে যথেষ্ট আদর স্নেহে বড় করলেও বাবা-মায়ের ভালবাসার অভাবটা তার জীবনে প্রকট। তাই জীবনের শেষ কয়টা মাস নিজের মতো করে কাটানোর জন্যে সে ঢাকা ছেড়ে শ্রীমংগলে তাদের নিজেদের রিসোর্টে চলে আসে।
রিসোর্টে আসা অতিথিদের’কে আপন করে নেয়ার মধ্যে দিয়ে তার সময় কাটে। এখানে থেকেই সে তার জীবনের শেষ কয়েকটা দিন অনন্দের সাথে কাটিয়ে যেতে চায়। এরমধ্যেই একদিন বাবা-মা, ভাই, দাদী সহ ঐশী অর্ণবদের রিসোর্টে বেড়াতে আসে। রিসোর্ট ম্যানেজার প্রথম থেকেই ঐশী’র মধ্যে একধরনের অস্বাভাবিকতা দেখতে পায়। সেদিন রাতেই ঐশী’কে একা একা হাঁটতে দেখে ম্যানেজার ভয়ে পেয়ে অর্ণবের কাছে যায়, আর তখনই ঘটা এক দূর্ঘটনা আর সেখান থেকে ঐশী’কে উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে ঐশীকে অর্ণব প্রথম দেখতে পায়। এরপরে যা ঘটে তা জানতেই দেখে নিন অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিন অভিনীত ‘স্বপ্ন দেখার দিনগুলো’ টেলিফিল্মটি।
মনোজ প্রামানিক ও মুফতুহা জান্নাত অভিনীত টেলিফিল্ম ‘বুনোফুল’র গল্পটা জাহিদ স্যার এবং নীলা নামে সবে বেড়ে উঠা এক কিশোরীর প্রেমের গল্প। জাহিদ পেশায় অংকের শিক্ষক। ভদ্র এবং চুপ চাপ মেজাজ এর মানুষ এবং তরুন।
শিক্ষকতা চাকরির সুবাদে তাকে প্রথম বদলি হতে হয় সিলেট চা বাগান ঘেষা এই মফস্বল স্কুলে। জাহিদ স্যার যে পথ দিয়ে পুরাতন হোনডা চালিতে স্কুলে যায় সে পথ দিয়ে গল্পের সবে বেড়ে উঠা কিশোরী নীলাও স্কুলে যায়। নীলা’র বাবা নীলা কে তাদের সরকারি গাড়ি দিয়ে স্কুলে দিয়ে এবং নিয়ে যায়। রোজ জাহিদ স্যার কে পাহাড়ি পথে দেখতে নীলা’র বেশ লাগে। কোন কোন দিন দেখা যায় নীলা’র বাবা নীলা কে স্কুলে নামিয়ে না দিলে নীলা জাহিদ স্যার কে অনুরোধ করে তার পুরাতন বাইকে চড়ে স্কুলে চলে যেতে দেখা যায়।
জাহিদ স্যারের বাইকে চড়ার সময় অদ্ভুত এক অনুভতি পায় গল্পের নীলা। এই যেনো প্রথম প্রেমে পড়ার অনুভতি। জাহিদ স্যার এর শার্টের মুমুঘ্রান নীলাকে পাগল করে রাখে। এই সুবাসে এমনও হয়েছে জাহিদ স্যারের বাসা থেকে সেই শাট টা চুরি করে এনে নিজের কাছে যত্নে রেখে দিয়েছিলো নীলা। নীলা ক্লাস টেন-এ পড়ে। সামনে এস এস সি দিবে। সদ্য ষোড়ষি বালিকা, চুপ চাপ এবং লাজুক প্রকৃতির মেয়ে। কিছুটা হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস এর রুপার মতো। নীলা’র বাবা সরকারি বন বিভাগে চাকরি করে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায় জাহিদ স্যার এর সাথে নীলা’র দেখা হয় কিন্তু সাহস করে কখনও ভালবাসি বলা হয়ে উঠেনি নীলার। কিন্তু শেষমেশ কি সে ভালোবাসার কথা বলেই ফেলবে জাহিদ স্যারকে? জানতে চোখ রাখুন চ্যানেল আইতে।