প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করবে।
তিনি আজ ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে এই কথা বলেন। ভাষণে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসমূহের সহায়তা নিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করে থাকে। সরকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে বরাবরই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনও তার সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে সকল সহায়তা গ্রহণ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে কেবলমাত্র সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই। রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া টেকসই হয়।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি বিষয়ে সচেতন। নির্বাচন বিষয়েও জনগণ সমানভাবে সচেতন হয়ে এর গুরুত্ব বিবেচনা করবেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন তিনি। তফসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। আর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর, মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত।