চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে ধর্ষককে গ্রেপ্তার না করলে দুর্গাপূজা বর্জনের ঘোষণা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার না করলে আসন্ন দুর্গাপূজা বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় হিন্দু নেতারা।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা মোড় চত্ত্বর এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি আবু সামাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে পুলিশের সহায়তায় আপোষ-মিমাংসার জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু হিন্দু সমাজ যদি এমন ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পায় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো। একইসাথে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে প্রতিবাদ স্বরূপ আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা থেকে বিরত থাকার হুমকি দেয়া হয়। এর পাশাপাশি দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রতিটা পূজামণ্ডপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

এসময় উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্মরণ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দাস, উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অভিজিৎ ঘোষসহ অন্যান্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সনাতন ধর্মের লোকজন বিভিন্ন প্রতিবাদ লেখাযুক্ত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ধুবলিয়া এলাকায় খালেক নুরানী মাদরাসার শিক্ষক এবং একই গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর নির্যাতন ও ধর্ষণ অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে বাবা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর সকালে আবু সামার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর সকালে অভিযুক্তের পরিবার স্কুলছাত্রীটিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়েটিকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। একইসাথে নথিভুক্ত করে প্রধান অভিযুক্তের বড় ভাই ও সহযোগী মোতালেবকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।