নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লবের৷ তিনি জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক৷
লাশের ময়নাতদন্তকারী নারায়ণগঞ্জ সদর জেলা হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাক্তার মফিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, দুরন্ত বিপ্লবের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত দুরন্ত বিপ্লব (৫১) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার ছোট ইলাশপুরের প্রয়াত আব্দুল মান্নানের ছেলে৷ তার পরিবারের লোকজন থাকতেন ঢাকায়৷
মরদেহ উদ্ধার করা ফতুল্লার পাগলা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শাহ্জাহান আলী জানান, শনিবার বিকেলে পাগলা ঘাট থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ রাত ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন নিহতের স্বজনরা৷ পরে রাত তিনটায় নারায়ণগঞ্জ এসে নিহতের ছবি দেখে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন স্বজনরা৷
পুলিশ ধারণা, অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ফুলে চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। মাথায় লালচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, দুরন্ত বিপ্লব নামে ওই ব্যক্তি গত সাত নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন৷ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে৷ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের মতামতের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লব আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটিরও সদস্য ছিলেন৷ কেরানীগঞ্জে তার কৃষি খামার ছিল৷ গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাবার পথে তিনি নিখোঁজ হন৷ নিখোঁজের আগে তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন ছিল কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ৷