করোনা নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। আর এই সময়ে টেলিভিশন নাটকের শুটিং হবে কিনা, তা নিয়ে ছিলো যথেষ্ট সংশয়।
অবশেষে জানা গেল, বিশেষ বিবেচনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প আয়োজনে হচ্ছে টেলিভিশন নাটকের শুটিং। চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানিয়েছেন ‘টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (টেলিপ্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির।
নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো বলছে, সরকারি প্রজ্ঞাপনে গণমাধ্যমকর্মীদের কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে এই সময়ে শুটিং করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এদিকে সামনে ঈদুল আযহা। টেলিভিশন চ্যানেলের ঈদের একাধিক নাটক নির্মাণের অপেক্ষায়। এই নাটকগুলো নির্মাণ করা না গেলে ঈদে নাটক প্রচারে জটিলতায় পড়বে চ্যানেলগুলো। সেই সাথে নাটকের কলাকুশলীরাও পড়বে আর্থিক বিপর্যয়ে।
সব দিক বিবেচনায় শুটিং চলবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্ক্ষলাবাহিনীর উর্ধ্বতনদের সাথে। বুধবার রাতে জুম মিটিংয়ে সাভ্যস্ত হয়, আগামী ঈদে টেলিভিশনে প্রচারের লক্ষ্যে যেসব নাটকের শিডিউল হয়ে গেছে কিন্তু শুটিং সম্পন্ন করতে পারেনি, শুধুমাত্র সেসব নাটক শুটিংয়ের অনুমতি পাবে।
টেলিপ্যাব এর সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির বলেন, টেলিভিশনে ঈদুল আযহার অনুষ্ঠানমালায় জন্য যেসব নাটক/টেলিফিল্মে শিডিউল হেয়ে গেছে, কিন্তু এখনও শুটিং সম্পন্ন হয়নি প্রমাণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র তারাই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শুটিংয়ের সুযোগ পাবেন। অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং স্বল্প আয়োজনে শুটিং করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী সে বিবেচনাতেই শুটিংয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যে টেলিভিশনের জন্য ঈদের নাটক/টেলিফিল্ম এর শুটিং করবেন, শুটিং টিমকে সেই টেলিভিশনের অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্ক্ষলাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাটকের আন্তঃসংগঠনের পক্ষে সাজু মুনতাসির বলেন, এই সংকটময় সময়ে ঈদকে সামনে রেখে টেলিভিশনের নাটকের মানুষদের অনুরোধ বিবেচনা করে শুটিংয়ের অনুমতি দেয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।