করোনা মহামারীর পর এবার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালো আওয়ামী যুবলীগ। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শীতের প্রারম্ভিক পর্যায়ে দেড় লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সংগঠনটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ দেশের ক্লান্তিকালে, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় দেশ ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। তারই ধারাবাহিকতা করোনা মহামারিতে বিনামূল্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ঔষধ, ফ্রি মেডিকেল সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন বা সৎকার করে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে যুবলীগ। যার ফলে মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে। যুবলীগের মানবিক কার্যবলী অব্যাহত রাখতে শীতের তীব্রতা যখন প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে তখনও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
গত ২১ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভা শেষে এক হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে দেশব্যাপী যুবলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শেষে চট্টগ্রামের সিআরপি চত্বরে যুবলীগের পক্ষ থেকে এক হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারিতে যুবলীগের সাত সদস্য বিশিষ্ট সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে চার হাজার, পঞ্চগড়ে দু’হাজার, নীলফামারীতে দু’হাজার এবং ঠাকুরগাঁওয়ে চার হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের আহ্বানে দেশব্যাপী যুবলীগের নেতাকর্মীরা শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন। শীতের প্রথমার্ধে যুবলীগের পক্ষ থেকে দেড় লক্ষেরও অধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন জেলা ও মহানগর যুবলীগের কম্বল বিতরণের তালিকা
কেন্দ্রীয় যুবলীগ ২৩ হ্জার ৬০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ১১ হাজার, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এক হাজার ৫০০টি, পঞ্চগড় জেলা ৫০০টি, লালমনিরহাট জেলা ২০০টি, দিনাজপুর জেলা চার হাজারটি, কুড়িগ্রাম জেলা এক হাজার ২০০টি, নীলফামারী জেলা এক হাজারটি, ঠাকুরগাঁও জেলা আট হাজারটি, গাইবান্ধা জেলা দু’হাজারটি, নাটোর জেলা পাঁচ হাজারটি, পাবনা জেলা আট হাজারটি, বগুড়া জেলা নয় হাজার ৭০০টি, জয়পুরহাট জেলা ৫০০টি, নওগাঁ জেলা এক হাজারটি, খুলনা মহানগর দু’হাজারটি, যশোর জেলা আট হাজারটি, কুষ্টিয়া জেলা চার হাজারটি, মেহেরপুর জেলা পাঁচ হাজারটি, মাগুরা জেলা দু’হাজারটি, ঝিনাইদহ জেলা ৫০০টি, চুয়াডাঙ্গা জেলা এক হাজারটি, ফরিদপুর জেলা এক হাজারটি, মাদারীপুর ৪০০টি, ঢাকা জেলা ১১০০টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭০০টি, টাঙ্গাইল জেলা ৫০০টি, মানিকগঞ্জ জেলা এক হাজারটি, গাজীপুর জেলা ৫০০০টি, গাজীপুর মহানগর ২৫০০টি, ময়মনসিংহ জেলা ১৬০০টি, ময়মনসিংহ মহানগর ৫০০টি, জামালপুর জেলা ৩০০টি, নেত্রকোণা জেলা ১৫০০টি, শেরপুর জেলা ২০০টি, পটুয়াখাীল জেলা ৫০০০টি, কুমিল্লা উত্তর জেলা ১৫০০টি, কুমিল্লা মহানগর ২৫৬০টি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ২০০০টি, লক্ষ্মীপুর জেলা ২৫৯০টি, ফেনী জেলা ১৫০০টি, নোয়াখালী জেলা ৪০০০টি, চট্টগ্রাম মহানগর ৪৫০০টি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ১০০০টি, সুনামগঞ্জ জেলা ১৫০০টি ও মৌলভীবাজার জেলা ৭০০টি, সর্বমোট= ১,৫৫,৩৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।