চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কানাডায় আলোচনা সভা

কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তি সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Bkash July

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এখন শুধু বাঙালীর নয়, সারা বিশ্বের তথা মানব সভ্যতার অহংকার। এ ভাষণ কালোত্তীর্ণ বিশ্ব ক্লাসিক, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করে নিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অফ ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পরেই সারা বিশ্বে প্রবাসীরা জেগে ওঠে। ঐতিহাসিক ঐ ভাষণ থেকে দিক নির্দেশনা পেয়েই পরোক্ষভাবে প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

Reneta June

সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরি’র সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, ৫২ বছর আগের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের স্লোগানে উত্তাল বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে উড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্ঠি উত্থিত হয় আকাশে। বঙ্গবন্ধু সেদিন শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বান দিয়েই চুপ থাকেননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। মূলত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণেই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা ও মূল ভিত্তি।

এসময় বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল্, উজ্জ্বল ও প্রেরণাভূমি। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত শক্তি ও সাহস যুগিয়ে আসছে।

কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস, স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা।

প্রবাস বাংলা ভয়েস এর প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক সেদিনের ওই ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তির ভাষণ, পরাধীনতার শৃংখল থেকে দেশকে স্বাধীন করার ভাষণ। মূলত এই ভাষণের পর পরই সারা বিশ্বের প্রবাসীরা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের।

সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রুপক দত্ত, রাসেল রুপক, উম্মে তানিয়া,মৌ ইসলাম, তানভীর আহমেদ জয়, মোশারেফ হোসেন মাসুদ প্রমুখ।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View