গুম, হত্যা, খুন এটাই বিএনপি-জামায়াতের গুণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি অভিযোগ করেছেন: ২০০৮ এর নির্বাচনে বড় হারের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। তারপর থেকেই তারা নির্বাচন বানচালের জন্য অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন: জাতির পিতা এদেশের যেমন উন্নতি চেয়েছিলেন, আমরা ঠিক একইভাবে দেশকে গড়ে তুলছি। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশ পেছন দিকে গিয়েছে। আর আমরা বরাবরই দেশের উন্নয়নে কাজ করি।
নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: নির্বাচন যেন না হয় নানা চক্রান্ত চলছে। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবেন। নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করবেন। সবাই ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন, দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হোক আমরা এগিয়ে যাবো জনগণের শক্তিতে। দেশব্যাপী উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দেবেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে তিনটি মেট্রোরেল তৈরি করার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ নেতা।
তিনি বলেন: নারায়ণগঞ্জে তিনটি মেট্রোরেল তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমরা তিনটি মেট্রোরেলের লাইন তৈরি করব। এমআরটি লাইন ১, ২ ও ৪। এমআরটি লাইন ওয়ান ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে মেট্রোরেল চলবে। এমআরটি লাইন ওয়ান এমআরটি লাইন ২ ও ৪ এগুলো সবই যাবে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে। এছাড়া আমরা নারায়ণগঞ্জ স্পেশালি ইকনোমিক জোন করবো।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনি জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বিকাল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
শেখ হাসিনা জনসভাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। তিনিও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। দুপুর থেকেই জনসভাস্থলে কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকাতেও হাজারো নেতাকর্মীর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। নানান রঙের ব্যানার ও ফেস্টুনসহ রঙিন পোশাক পরে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।