চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

কনটেন্ট ভালো হলে দর্শক যে কোনো প্লাটফর্মে দেখবে: আরিয়ান

নাটক বানিয়ে নির্মাতা হিসেবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। ‘বড় ছেলে’, ‘ব্যাচ ২৭’, ‘বুকের বা পাশে’, ‘গজদন্তিনী’, ‘২২ শে এপ্রিল’, ‘সংসার’-এর মতো বহু দর্শক নন্দিত নাটক নির্মাণ করেও বরাবরই ‘ডাউন টু আর্থ’ এই নির্মাতা। বছর দেড়েক আগে বন্ধুত্বের গল্পে সাজানো ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ওয়েব ফিল্ম বানিয়ে বাজিমাৎ করেন আরিয়ান। এই ভালোবাসা দিবসে তার নতুন ওয়েব ফিল্মউনিশ ২০’ আসছে; তাতে মুখ্য চরিত্রে আছেন আরিফিন শুভ ও বিন্দু।

জনপ্রিয় এই নির্মাতার কনটেন্টের প্রতি বরাবরই আগ্রহ থাকে দর্শকের। এবারও তাই! ‘উনিশ ২০’ নির্মাণ ভাবনা ও সার্বিক বিষয় নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে কথা বললেন আরিয়ান।

কী আছে ‘উনিশ ২০’-এ? এটা কি ওই বয়সের প্রেমের গল্প?
এটা ফিল গুড লাভ স্টোরি! পুরো কনটেন্ট দর্শকদের মনে ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করবে। সুন্দর তিনটি গানের সঙ্গে ফান থাকবে। এইসঙ্গে একটি প্রেমের গল্প থাকবে। ‘উনিশ ২০’ বলতে ওই বয়সের প্রেম নয়, তফাৎ বা অল্প ব্যবধান বুঝিয়েছি।

Bkash July

আপনার আগের কাজগুলোতে ‘লাভ স্টোরি’গুলো দেখি খুব সাধারণ, কিন্তু অসাধারণভাবে প্রেজেন্ট করেন। ‘সম্পর্কে নয়, কিছু প্রেম বিচ্ছেদ জন্মায়’- এই ট্যাগ লাইনে এবার কী জটিল প্রেমের গল্প থাকবে?
ওই লাইনে কেউ জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও প্রেমের জন্ম হয় এটা বোঝানো হয়েছে। অনেক সময় ব্রেকআপের পর প্রেম জাগে এটা বোঝানো হয়েছে। গল্পের প্রয়োজনে কিছু ক্রাইসিস ও অনেক কিছু আসবে। সবকিছু মিলিয়েই ‘উনিশ ২০’। আমি আসলে এমন একটি গল্প বলতে চেয়েছি যা দর্শকদের মন ভালো করে দেবে। লেটস সি…!

অভিনেত্রী বিন্দুকে কামব্যাক করালেন কীভাবে?
অনেক আগেই ভেবেছিলাম বিন্দুকে নিয়ে কাজ করবো। ‘উনিশ ২০’ গল্পটা রেডি করে মনে হয়েছে এই চরিত্রটি বিন্দু করলে ভালো হয়। উনি যে আবার কামব্যাক করবেন শুরুতে তার এই ইচ্ছে ছিল না। গল্পটি শুনে ওনার মনে হয়েছে এই ধরনের গল্পেই তার কামব্যাক করা উচিত। এরপর শুটিংয়ের আগে ওয়ার্কশপ ও কাজে ফিরে দেখেছি তিনি কাজে প্রচণ্ড আগ্রহী ও সিরিয়াস। পরে উনি আমার চেয়ে কাজটাকে নিজেই নিজের করে নিয়েছেন। পুরোপুরি শিলা চরিত্র হতে বিন্দু অনেক বেশী পরিশ্রম করেছেন।

Reneta June

আরিফিন শুভ নাকি তার শুটিংয়ে ডিরেক্টরদের ডমিনেট করার চেষ্টা করেন- আগের পরিচালকদের এমন অভিযোগ শোনা যায়। আসলেই তাই? আপনি কিছু ফেস করছেন?
শুভ ভাইয়ের মধ্যে এসব কিছু দেখিনি। সবকিছু আমার মত করে হয়েছে। কনটেন্টের মধ্যে অপু চরিত্রের জন্য যা করণীয় উনি সেভাবেই খেটেছেন। এমনকি কোনো সংলাপও চেঞ্জ করতে হয়নি। এমনও হয়েছে সবার আগে উনি শুটিংয়ে এসে মেকাপ রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। শুটিংয়ের আগে সাতদিন ওয়ার্কশপে সময় দিয়েছেন। আমি আশা করছি উনি পরিশ্রমের ফিডব্যাক পাবেন।

আরিয়ানের ‘উনিশ ২০’ এ জুটিবদ্ধ শুভ-বিন্দু

চরকি’র এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হিট ও সবশ্রেণীর দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া কনটেন্ট ‘নেটওয়ার্কে বাইরে’। প্রথমটির সাফল্য ছাড়িয়ে যেতে হবে এমন চাপ অনুভব করছেন?
কখনই এই চাপ নেই না। যদি নিতাম, তাহলে ‘বড় ছেলে’র পর হয়তো টিভি কনটেন্ট বানাতে আমার কষ্ট হতো। একইভাবে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’র পরে আমি এই চাপ নিচ্ছি না। আমি চেয়েছি এই গল্পটা সবচেয়ে ভালো কীভাবে বানাতে পারি। কাজটি দেখে যদি দর্শকদের ভালো লাগে তাহলে হবে এই গল্পের নির্মাণ সার্থক। আমি মনে করি ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ টপকাতে পারলেই সাকসেস আসবে তা না, সিনেমাটি মানুষদের ভালো লাগলে করতে পারলে সেটাই হবে আমিও আমার টিমের সার্থকতা।

ইউটিউব নাটকে ভালোবাসা দিবসে প্রতিযোগিতা হতো! এবার তো ওটিটিতে আপনাকে প্রযোগিতা করতে হবে। কী মনে হচ্ছে?
একটি উৎসবের সবচেয়ে সফল কনটেন্ট যদি আমার হয় তবে অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু সফল হতে হবে এই ভেবে কখনই কাজ করি না। সবসময় খেয়াল রাখি যেটা দেখাতে চাই সেটা স্ক্রিনে দেখাতে পারছি কিনা। আমি জানি যদি এটা করতে পারি তাহলে দর্শকই সফল করে দেবেন।

তাহলে ইউটিউবের দর্শকরা এবারের ভালোবাসা দিবসে আপনার কোনো কাজ পাচ্ছে না…?
নির্মাতা হিসেবে আমি অল্প বয়সে যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি এমন ভালোবাসা কে পেয়েছেন আমি জানি না। আমি সবসময় আমার দর্শকদের বিশ্বাস করি। এও বিশ্বাস করি, আমি যে প্লাটফর্মে কনটেন্ট বানাবো দর্শক সেখানে গিয়ে দেখবেই এবং কনটেন্ট ভালো হলে দর্শক যে কোনো প্লাটফর্মে দেখবে। আমার ও আমার কনটেন্টের প্রতি তাদের এই বিশ্বাস আছে। এটাকে আমি সম্মান জানাই। দর্শক যে মাধ্যমে আরাম পাবে সেই মাধ্যমে কনটেন্ট দেখবে। আমরা চাই ভালো কনটেন্ট বানাতে আর দর্শক চায় ভালো কনটেন্ট দেখতে।

ইমোশন ও লাভ স্টোরি নির্মাণে আপনার জুড়ি নেই। এই ম্যাজিকটা আসলে কী?
এটা আমি ঠিক বলতে পারবো না।  নিজের প্রেমের চেয়ে আশেপাশের ঘটে যাওয়া প্রেম দেখতে এবং অবজার্ভ করতে পছন্দ করি। অনেক সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে এবং রেস্টুরেন্টে কাপলদের দেখি। তাদের মধ্যে যেটা ঘটে বা ঘটতে পারতো কিন্তু ঘটেনি সেটা আমি স্ক্রিনে দেখানোর চেষ্টা করি।

শেষ প্রশ্ন। সিনেমা হলের জন্য সিনেমা কবে বানাবেন?
যখন একটু একটু পরিচিতি পেতে থাকি সেই সাতবছর আগে থেকে আমার কাছে ফিল্মের অফার আসতে থাকে। কিন্তু আমি আমার প্রথম ফিল্মের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমার গল্প আর্টিস্ট প্রযোজক কোনো কিছুর সংকট নেই। সুন্দর সময়ের অপেক্ষায় আছি। আমার চারটি গল্পের মধ্যে লাভ স্টোরি ও ট্র্যাজেডি দুটো গল্প একেবারে প্রস্তুত। দুজন প্রযোজক পুরোপুরি লকড। ঘোষণা দিচ্ছি না, তবে আশা করছি শিগগির হয়তো শুরু করতে পারবো।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View