ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পেস সহায়ক উইকেটে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ১১ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা ভারী লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশের সাত জয়ের বিপরীতে আফগানরা জিতেছে চারটিতে। দুদলের মধ্যে এটি মাত্র তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ। আগের দুই সিরিজেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
ভারতের মাটিতে ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্ব আসরের আগে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ৫০ ওভারের সংস্করণে। প্রিয় ফরম্যাটের বড় দুটি আসরে সেরা সামর্থ্য দেখানোর পালা বাংলাদেশের।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী বাংলাদেশ। দলে পারফর্মারও অনেক। আছে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নতুন করে জেগেছে পেস ইউনিট। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াডের সবাইকে পরখেরও সুযোগ দেখছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
চট্টগ্রামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ওপেনার বললেন, ‘পেসারদের মধ্যে সবাই ভালো করছে। এখানে হয়তো চেঞ্জ হতে পারে। তিন ম্যাচে হয়তো ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখতে পারবেন।’
এখন দেখার বিষয় তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলামদের প্রত্যেকেই আফগানিস্তান সিরিজে খেলার সুযোগ পান কিনা। ঘাসের উইকেটে পেসারদের দিকেই যে ফোকাস থাকবে সেটি না বললেও চলছে।
বিশ্বকাপ ভাবনায় আফগানিস্তান সিরিজে দলে ফেরানো নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেনকেও সুযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। তাদের ব্যাপারে তামিম বলেছেন, ‘এই একটা সিরিজে আমরা চেষ্টা করব সবাইকে সুযোগ দিতে। তবে এটা নিশ্চিত নয়। আমরা চেষ্টা করব নাঈমকে সুযোগ দিতে। বড় একটা ইভেন্টের আগে ২-৩টা ম্যাচ খেলতে পারলে ওদের জন্য ভালো।’
চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলা হলেও বাংলাদেশ দলকে এবার নামতে হবে সবুজ উইকেটের পরীক্ষায়। যেখানে শুরুর ১০ ওভার চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন অধিনায়ক তামিম।
আফগানিস্তানের স্পিন প্রতিরোধের ভাবনা অমূলক নয়। কেননা রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমানরা রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে ফিরছেন।
চোট থেকে ফেরা তামিম শতভাগ ফিট না হলেও প্রথম ওয়ানডে খেলবেন। ম্যাচ খেলেই বোঝার চেষ্টা করবেন কতটা সেরে উঠেছেন। সিরিজ শুরুর আগে উইকেট দেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন উইকেট পরিস্থিতির কথা।
‘এখানকার উইকেট কিছুটা ভিন্ন। হালকা ঘাস রয়েছে। সাধারণত ব্যাটিংয়ের জন্য চট্টগ্রামের উইকেট বেশ ভালো হয়। প্রথম দশ ওভার দুই দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং থাকবে। ১০-১৫ ওভার সংগ্রাম করার পর মাঝের ওভারগুলো থেকে রান উঠবে।’