শেরপুরে শহরের কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া। শহরের দীঘারপাড়, গৌরিপুর, বাগরাকসা, সজবরখিলা, চাপাতলি এলাকায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশী। জেলা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৯১ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগে ভর্তি হওয়া ৩০ জনকে এদিন হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হলেও ১১০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই শতাধিকের ওপর ডায়রিয়া আক্রান্তের রোগী ভর্তি থাকছেন।
হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হওয়ায় জেলা হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দিলে অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরী ভিত্তিতে কলেরা স্যালাইন এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শেরপুর পৌর এলাকায় ডায়রিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইন, ঔষধপত্র বিতরণ এবং সচেতনতামূলক সভা করছেন। আক্রান্ত এলাকাগুলোর ওভারহেড ট্যাংকের মাধ্যমে সরবরাহকৃত পানি পরীক্ষার পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। টিউবঅয়েল কিংবা অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা খাবার পানি ফুটিয়ে পান করা এবং পরীক্ষা করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
২ নভেম্বর বুধবার জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া রোগীতে সয়লাব। নির্ধারিত ওয়ার্ডে স্থান না পেয়ে ডায়রিয়া রোগীরা মেডিসিন ওয়ার্ড এবং হাসপাতালের অফিস কক্ষে যাওয়ার বারান্দার মেঝেতেও আশ্রয় নিয়েছেন। হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী গত ২৩ অক্টোবর থেকে জেলা হাসপাতালে অস্বাভাবিক হারে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি বাড়ছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়া মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।