চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যুদ্ধের মধ্যে কীভাবে ইউক্রেনে গেলেন বাইডেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কীভাবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনে গিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন, সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে ১০ ঘণ্টা ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। সেই ঘটনা এবার প্রকাশ্যে এসেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ভোর ৪টার দিকে সবার নজর এড়িয়ে আমেরিকার বিমান বাহিনীর একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমানে চড়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাইডেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী, চিকিৎসকদের একটি ছোট দল। তাছাড়া কয়েক জন উপদেষ্টা এবং দুজন সাংবাদিকও সঙ্গে ছিলেন।

জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সফরের সময় সাধারণত বাইডেন যেখান থেকে বিমানে ওঠেন, সেখানে ছিল না বিমানটি বরং তার বেশ কিছুটা দূরে এই বিমান রাখা হয়েছিল। এই সুযোগে গণমাধ্যমকে ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হন বাইডেন।

উল্লেখ্য, সাধারণত বাইডেনের বিদেশ সফরকালে ১৩ জন সাংবাদিকের একটি দল সঙ্গে যান। তবে এবার শুধুমাত্র একজন ফটোগ্রাফার এবং একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়েই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন বাইডেন।

বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রেন সফরে থাকা সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এক ফটোগ্রাফারকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলে রাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাকে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস পরবর্তীতে তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট যতক্ষণ না ফিরে আসছেন, তত ক্ষণ তারা ফোন পাবেন না।

এরপর প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে নিয়ে যায় বিমানটি। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি কালো কাচে ঢাকা গাড়িতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ১০ ঘণ্টার সফর শেষে ইউক্রেনে পৌঁছন বাইডেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, সফরের বিষয়টি সারা বিশ্ববাসীর কাছে গোপন রাখা হলেও, বাইডেনের কিয়েভে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই রাশিয়াকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়।

বাইডেন কিয়েভে যাওয়ার পর যেন কোনো ধরণের হামলা বা ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেটি নিশ্চিত করতেই রাশিয়াকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুলিভান।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইউক্রেনে গিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন বরিস জনসন। এবার সেই একই কাজ করলেন বাইডেন। বিগত প্রায় একবছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মাঝে ঘরোয়া রাজনীতিতেও চাপের মুখে আমেরিকা। গতবছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশ্বমঞ্চে নানান সমালোচনা হয় আমেরিকার। এই সব বিষয়কে পিছনে ফেলে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং নিজের ভাবমূর্তি ঠিক করতে কিয়েভে পা রাখেন জো বাইডেন।