স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিসট্যান্স (আইডিইএ) জানিয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন, মত-প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের অধিকারকে খর্ব করাসহ নানান কারণে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশে গণতন্ত্র সংকটের মুখোমুখি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০২২ সালে টানা ষষ্ঠ বছরের মত এই পতন দেখা যায় বলে জানিয়েছে আইডিইএ। আইডিইএ মহাসচিব কেভিন কাসাস-জামোরা বলেছেন, সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এখনও সমস্যায় রয়েছে। কোথাও কোথাও এর পতন ঘটছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন, সংসদ এবং স্বাধীন আদালতের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অবনতি আইনের শাসন রক্ষা এবং রাজনীতিবিদদের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। তবে যখন আমাদের অনেক আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান যেমন আইনসভা দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আশা করা যায় যে সাংবাদিক, নির্বাচন সংগঠক এবং দুর্নীতিবিরোধী কমিশনাররা এই কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।
আইডিইএ বলেছে, এই পতনকে জীবনযাত্রার ব্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের সাথে একত্রে দেখা উচিত। আইডিইএ ‘গ্লোবাল স্টেট অফ ডেমোক্রেসি’ সূচকগুলোকে ১০০ টিরও বেশি মুল্যায়ন এবং চারটি প্রধান বিভাগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে।
আইডিইএ বলেছে, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যসহ অনেক প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র সূচকের উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে আজারবাইজান, বেলারুশ, রাশিয়া এবং তুরস্ক।