বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে হাসিবা আলী বর্ণা সম্পাদিত ও অনূদিত ‘গহিনের স্রোতধারা: এশিয়ার নারী সাধকদের জীবন ও কবিতা’। বইটিতে খ্রিস্টপূর্ব ২৩০০ অব্দ থেকে আধুনিক যুগের সূচনাকালের ৩৬ জন নারী সাধকের পরিচিতি ও এশিয়ায় তাদের প্রতিনিধিত্বমূলক কিছু কবিতা সংকলন ও ভাষান্তর করা হয়েছে।
২৫% ছাড়ে ৩৪০ টাকায় পাঠকরা বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন ইউপিএল-এর প্যাভিলিয়ন থেকে। এছাড়া ইউপিএল এর ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজেও বইটি অর্ডার করা যাবে।
অতীন্দ্রিয়বাদী ও ধ্যানমগ্ন এ কবিদের সাধনপন্থা আলাদা ও বৈচিত্র্যময় হলেও প্রথাগত ধর্মচর্চার সীমা পার হয়ে একটি বিন্দুতে এসে তারা এক হয়েছেন, মিলেমিশে গেছেন গভীর ভাবধারায়। গভীর ঐক্যে তাদের সম্মিলিত স্বরে একটি সুরই প্রাণ পেয়েছে, সে সুর ভালোবাসার।
নিজেকে চেনা-জানা-বোঝার জন্য যে অনুসন্ধান, তাতে প্রজ্ঞার সাথে শান্তি ও স্থিতির সূত্রসন্ধানও ঘটে। পরমাত্মাই হোক বা বিশ্বপ্রকৃতি, জীবাত্মার সাথে তাকে এক করে দেখার যে উপলব্ধি, তা মানুষকে আরও গভীরতর ও উচ্চতর মানবিক স্তরে পৌঁছে দেয়। আধ্যাত্মিকতার ইতিহাস তাই নারী বা পুরুষ, বর্ণ কিংবা জাতির সংকীর্ণতাকে ছাড়িয়ে ঐক্য ও সমন্বয়ের পথে মানুষের নিবেদনেরই ইতিহাস, সে বোধটিই সমগ্র বই জুড়ে পাবেন পাঠক।
মূলত দরবারি ভাষা-সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে, প্রচলিত অনুশাসন ভেঙে সহজ ভাষায় সমাজের তলানিতে থাকা সাধারণ মানুষের শব্দ ও ভাষায় সাধনা করেছেন এ নারী সাধক-কবিরা। সাধারণ মানুষও তাদেরকে গ্রহণ করেছেন। তাদের মাঝে সন্ধান পেয়েছেন প্রাত্যহিক জাগতিক বোধ থেকে ঊর্ধ্বে উঠে অতীন্দ্রিয়ের স্পর্শের অনুভূতি। এ কারণেই যুগ কিংবা শতক শুধু নয়, সহস্রাব্দ পেরিয়ে গেলেও তাদের কবিতার আবেদন এখনো অম্লান। পাশাপাশি ধর্ম, লিঙ্গের সীমারেখা ছাড়িয়ে সাধকের সর্বজনীন হয়ে ওঠার বয়ান পাওয়া যাবে তাদের জীবনের গল্পে।
লেখক হাসিবা আলী বর্ণার জন্ম ১৯ মে ১৯৮১, ঢাকার গ্রিনরোডে। পুষ্টিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা বেছে নিয়েছেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। কর্মসূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে একটি টেলিভিশনে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। লোকসংস্কৃতি, ইতিহাস ও নারীসহ বিবিধ বিষয়ে আগ্রহী তিনি। তার প্রবন্ধ ও কবিতা বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শব্দকে বলি, না’ (২০১৬)।