লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মাহমুদ ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিহতের লাশ পৌঁছালে এক হৃদয় রিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ গ্রামের বাড়ি নিহতের লাশ পৌঁছায়। এর আগে বুধবার ভোরে ঢাকার পপুলার হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
নিহত সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
নিহতের মা বুলি বেগম ও স্বজনদের দাবি, ছাত্রলীগের পদের জন্য সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল সজিবের। সম্প্রতি টাকা নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবলু তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সজিবকে বাবলু নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের মাসহ স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে চন্দ্রগঞ্জ এলাকাজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, হামলা ও গুলির ঘটনায় সোমবার রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১৮/২০ জনকে আসামি করা হয়। পরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরাপর আসামীদের পাকড়াও করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল রাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রগঞ্জ পাঁচপাড়ার যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।