চট্টগ্রামে তিন মাস ধরে দুই শতাধিক মানুষের ওপর নজরদারি করে ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
দুপুরে নগরীর মুনসুরাবাদের নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন।
তিনি জানান, গেল ৭ এপ্রিল নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৬ নম্বর বাড়ির এমজিএইচ গ্রুপের অফিসের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক অজ্ঞাত মহিলার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর ওই প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছাড়াও আশপাশের দুই শতাধিক মানুষের ওপর নজরদারি করার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল শওকত আলী নামের ওই প্রতিষ্ঠানের ক্লিনারকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মরদেহটি তার দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি আক্তারের বলে স্বীকার করে সে।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতার শওকত আলী বৈবাহিক বিচ্ছেদের পরও গোপনে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রেখেছিল। ঘটনার দিন তাদের দেখা হলে কলহের জেরে গলা টিপে হত্যা করে স্ত্রীকে। পরে সিএনজি অটোরিক্সায় মরদেহ অফিসে নিয়ে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। ছয় মাস পর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।