বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে শক্তি হারানোর এর আগে দেশজুড়ে কেড়ে নিয়েছে পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ৯ জনের প্রাণ। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায় এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে।
আবহাওয়া বিভাগ ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এসব জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন (নৌকা ডুবি), নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট নয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার কাছে বরিশাল–চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে।
মধ্যরাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।