বিশ্বজুড়েই প্রকোপ ছড়িয়েছে করোনা মহামারী। ভাইরাস ঠেকাতে লকডাউনের কারণে থমকে গিয়েছিল বিশ্ব। বহুদিন মাঠে গড়ায়নি কোনো খেলা। ক্রিকেট যার মধ্যে একটি। এখন অবশ্য করোনা উপেক্ষা করে দেশে দেশে ক্রিকেট ফিরেছে। কিন্তু ভাবনায় পড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। মহামারীর প্রভাবে ‘খেলোয়াড় অনুপস্থিত’ একটি প্রজন্ম তৈরি হতে চলেছে দেশটিতে। যা আগামীতে ক্রিকেটার সঙ্কট তৈরি করবে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেয়া ও ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের সংখ্যা যাচাই করতে ক্রিকেট শুমারি পরিচালনা করে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১-২২ মহামারী পরবর্তী সময়ে হওয়া বার্ষিক সেই ক্রিকেট শুমারি সাবধানী করছে দেশটিকে। এ সময়ে লকডাউনের ফলে বন্ধ ছিল মাঠ, ফলে ১০ শতাংশ ক্রিকেটার হ্রাস পেয়েছে অজিদের। যা নিয়ে উদ্বেগ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিটি শাখার প্রধান জেমস অলসপের।
‘এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এটি এমনকিছু যা আমরা নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে চালু করেছি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা এই শুমারি আরও ভালোভাবে চালু করতে চলেছি।’
করোনার ফলে তরুণ ক্রিকেটাররা মাঠেই আসার সুযোগ পায়নি একবছর। আগামীতে একটি উদীয়মান ব্যাটার, বোলার এবং ফিল্ডার শূন্য প্রজন্ম তৈরি হবে, যা পরবর্তীতে সঙ্কট আরও তীব্র করবে। তবে সাবধানী অজিরা। ক্রিকেটে আগ্রহী তরুণরা একবছর পিছিয়ে পড়লেও তাদের ফেরানোর উদ্যোগ দিচ্ছে।
‘আমরা একবছর হারিয়েছি। তবে আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের দুবছর হারাতে হবে না। ছয় বছর বয়সী যাদের ক্রিকেটে পাইনি আমরা, সেই সাত বছরে পা রাখাদের ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনব। ক্রিকেট অন্যান্য খেলা থেকে ব্যতিক্রম, এখানে খুব অল্প বসয়েই শুরু করতে হয়।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শুমারি তথ্য অনুসারে, ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ১২ বছর বয়সের আগে প্রথমবার ক্রিকেট খেলেছেন। গত বছরের জরিপে যেখানে দেখা গিয়েছিল, ৯ বছরের কম বয়সে ক্রিকেট শুরু করে দেশটির ৭০ শতাংশ ছেলে-মেয়ে।
মেলবোর্ন-সিডনিতে ক্রিকেটার সঙ্কটের মধ্যেও আশার খবর আছে তাসমানিয়া অঞ্চলের ক্রিকেটে। মহামারীর মধ্যেও এ অঞ্চলে ক্লাব সংখ্যা বেড়েছে। জুনিয়র ক্লাব নিবন্ধনের হার বেড়েছে গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ।