কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মানছে না চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত বাস মালিকরা। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি আদায় করছে এই রাস্তায় চলাচলরত দূরপাল্লার সব বাস। ফলে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গেল ১০ আগস্ট বাস মালিকদের সাথে বৈঠক চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বাস ভাড়া ৩৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তার আগে থেকেই ৪২০ টাকা আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দূরপাল্লারবাস পূরবী, এস আলম, সৌদিয়া, হানিফ পরিবহনসহ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত সব বাস কর্তৃপক্ষ যাত্রী প্রতি ৪২০ টাকা করে আদায় করেছে। এ নিয়ে অনেক যাত্রী বাকবিতণ্ডা করলেও তাতে কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার শহরের ঘোনাপাড়ার আবদুল আমিন বলেন, সরকার ভাড়া নির্ধারন করে দিয়েছি। কিন্তু তার চেয়ে ৮৮ টাকা বাড়তি নিচ্ছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। কেন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে তারও কোন সদুত্তর দিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। উল্টো তারা হুমকি দিচ্ছে।
পূরবী পরিবহন থেকে ৪২০ টাকা দিয়ে টিকেট নেয়া বাসু দেব নামের এক যাত্রী বলেন, ৩৩২ টাকা দিয়ে টিকেট চাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা মারমুখী হয়। সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া কার্যকর করতে হলে প্রশাসনের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারে যৌথ অভিযান চলছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সেসময় হানিফ পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের সাবধান করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, বাস ভাড়ার বিষয়টি দেখভালে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা শনিবার বিকেলে বাসটার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় হানিফ পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টার্মিনাল এলাকা থেকে কয়েকজন বখাটে ও মাদকাসক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।