স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার জেনিফার হারমোসোকে প্রকাশ্যে চুমু দেয়ার ঘটনাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। চুমুকাণ্ডে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
উচ্চ আদালতের একজন প্রসিকিউটর আবেদনটি করেন। বুধবার আদালতের নথি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়। রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটর মার্তা দুরান্তেজ যৌন নিপীড়ন এবং চুমুর পর তার কথিত কার্যকলাপের জন্য জবরদস্তির অভিযোগ আনেন। এই দুই অভিযোগে তিনি যথাক্রমে এক বছর এবং দেড় বছর কারাদণ্ডের আবেদন করেন।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত বছরের ২০ আগস্ট মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেনের শিরোপা জয়ের পর হারমোসোকে প্রকাশ্যে চুমু দেন রুবিয়ালেস। ঘটনার পর হারমোসো ও তার সতীর্থরা বলেছিলেন, চুমুটি অবাঞ্ছিত এবং অবমাননাকর ছিল। তবে রুবিয়েলস দাবি করেছিলেন, চুমুটি হারমোসোর সম্মতিতেই দেয়া হয়েছিল এবং তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
প্রসিকিউটর আদালতে আরও অভিযোগ করেন, স্পেন নারী দলের তৎকালীন হোর্হে ভিলদা, বর্তমান ক্রীড়া পরিচালক আলবার্ট লুক এবং ফেডারেশনের বিপণন প্রধান রুবেন রিভেরা চুমুটি সম্মতিপূর্ণ বলে স্বীকারে হারমোসোকে বাধ্য করেছিলেন। তারা এই স্ট্রাইকারের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে বারবার চাপ প্রয়োগ করে হয়রানি করেন। আদালতে হাজির হয়ে তারা তিনজন অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেননি। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যেকের ১৮ মাসের জেল হতে পারে।
রুবিয়ালেস, ভিলদা, লুক এবং রিভেরা মিলে হারমোসোকে এক লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও দাবি করেন প্রসিকিউটর মার্তা দুরান্তেজ। আবেদনে তিনি, রুবিয়ালেসকে এই অর্থের পরিমাণের অন্তত অর্ধেক দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
চুমুকাণ্ডে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে রুবিয়ালেস পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাকে তিন বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করে।